গভীর রাতে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিউজ ডেস্ক:
পাবনার সদর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ রুমানা পারভিনকে গুলি করে হত্যার দায়ে স্বামী মো. আব্দুল্লাহ ওরফে অকাতকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আব্দুল্লাহ ওরফে অকাত ভাঁড়ারা ইউপির পশ্চিম দামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ প্রামাণিকের ছেলে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং খালাসপ্রাপ্তদের মুক্তির আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০১৩ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি করে আসছিলেন স্বামী মো. আব্দুল্লাহ ওরফে অকাত। একাধিকবার টাকা দিলেও আবারো যৌতুকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবরের গভীর রাতে ঘরে থাকা বন্দুক দিয়ে রুমানাকে গুলি করে হত্যা করেন অকাত। খবর পেয়ে পাবনার সদর থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ৪ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘রায়ে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি আমার মক্কেল সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন এবং নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্রুনালের বিশেষ পিপি খন্দকার আব্দুর রকিব জানান, রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বলে আশা করছি ।