বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন তরুণীর
নিউজ ডেস্ক:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চলছে প্রেমিকার অনশন। উপজেলার সিংরইল ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যনগর (দক্ষিণ পাড়া) গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মধ্যনগর গ্রামের মো. জুলহাজ মিয়ার ছেলে মো. জনি মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী এক কিশোরীর সঙ্গে দীর্ঘ চার বছর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
শনিবার রাত দুইটার পর জনি মিয়া প্রেমিকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওই কিশোরীর বাড়িতে যায়। রাতে দরজার শব্দ শোনে ঘুম ভাঙে কিশোরীর বড় ভাই বাবুল মিয়ার। তিনি ঘর থেকে বের হয়ে দেখতে পান বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে আছে জনি মিয়া ও তার বোন। এমন ঘটনা দেখে হতবিহ্বল হয়ে যান বাবুল মিয়া। উপায়ান্তর না দেখে ঘরের পাশে থাকা লাঠি দিয়ে দৌড়ানি দেয় জনিকে। এ সময় জনি মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। মনের দুঃখে তার বোনকেই লাঠি দিয়ে পিটুনি দেয় বাবুল মিয়া। পিটুনি খেয়ে বিয়ের দাবিতে কিশোরী রাত সাড়ে তিনটার দিকে জনি মিয়ার চাচা আয়াতুল ইসলামের ঘরে অবস্থান নেয়।
ইউপি সদস্য হাবিল মিয়া জানান, ছেলে ও মেয়ে তারা সম্পর্কে চাচা ভাতিজি, এটা কেমনে বিয়ে হয়। সমাধান করতে ছেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে আমার কাছে দুই পক্ষ এসেছিল ছেলে পক্ষ বলে এটা ষড়যন্ত্র, মেয়ে পক্ষ বলে দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে মেয়েকে বিয়ে করতে হবে। দুপক্ষের কঠোর অবস্থানের ফলে সমাধান ছাড়াই সবাইকে বিদায় দিয়েছি। এর পর আর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
কিশোরীর বড় ভাই বাবুল মিয়া জানান, ‘ভাই মানসম্মান সব গেছে, আমার বোন এই বাড়ি থেকে আসতে চায় না। তাকে বের কারার জন্য ছেলের পক্ষের লোকজন মারপিট করেছে। তবুও আসতে চায় না। আমিও আনার চেষ্টা করেছি সে বলে, জনি আমার জীবন নষ্ট করেছে আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করব।’
তিনি আরো জানান, ছেলে পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি। স্থানীয় মাতব্বররা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা আইনের আশ্রয় নেব। ছেলে ও মেয়ে প্রতিবেশী সম্পর্কে চাচা ভাতিজি। কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই বলে জানান বাবুল মিয়া।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, এক পক্ষ মোবাইল ফোনে ঘটনা জানিয়েছে। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেই নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।