সাতক্ষীরায় হাইকোর্টে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সোলে রদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় হাইকোর্টে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সোলে রদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা গ্রামের মৃত চাঁদ আলী সরদারের ছেলে আবুল হোসেন বলেন আমার পিতার জীবদ্দশায় একই গ্রামের প্রতিবেশী সৌরভ বিবি’র সাথে ১৯৬৮/৬৯ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ ছিলো। এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চলাকালিন অবস্থায় সৌরভ বিবি মৃত্যু বরণ করেন।
এরপর আমার পিতা চাঁদ আলী সরদার ও সৌরভ বিবি’র ওয়ারেশগণের মধ্যে ২০০২ সালে ৬৭৬/৬৯ নং মামলাটি সোলে সূত্রে নিস্পত্তি হয়। সোলে সূত্রে ২০০২ সালে নিস্পত্তি হওয়ায় ঐ জমি মাঠ জরিপে ৩০ ও ৩১ ধারায় আমাদের নামে রেকর্ড হয়। এরপর থেকে আমরা উভয় পরিবার শান্তিপূর্ণভাবে যার যার সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু আমার আপন চাচাতো ভাই পর সম্পদ লোভী মৃত. দ্বীন আলী সরদারের পুত্র নজরুল ইসলাম প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়ে গোপনে সৌরভ বিবির ওয়ারেশগণদেরকে মকদ্দমা মামলার তদবীর কারক হিসাবে এভিডেভিট করতে ২০০২ সালে সোলে সূত্রে মিমাংশিত মামলাটি ২০০৪ সালে কিছু অসাধু কর্মচারীদের সহযোগিতায় সমন নোটিশ গোপনে জারী দেখিয়ে সোলে মূলে প্রাপ্ত ডিগ্রি রদ রহিত করে নেয়। অথচ নজরুল ইসলাম মরহুম সৌরভ বিবি’র কোন আতœীয় নন। সুতরাং কোনভাবেই তার কোন অধিকার নেই সৌরভ বিবি’র পক্ষে হাইকোর্টে রিট করার। শুধুমাত্র আমাদের হয়রানি করতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে নজরুল ইসলাম প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। বিষয়টি ২০০৮ সালে আমরা জানতে পারি। এরপর অনুসন্ধান করতে জানতে পারি ২০০৪ সালে স্থানীয় ইউ.পি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে একটি প্রত্যায়ন পত্র যার স্মারক নং ১-১৩/৪/২১ হাইকোর্টে দাখিল করে। ২০০২ সালে ঐ সোলে রদ করা হয়। এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করলে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম উক্ত প্রত্যয়ন পত্র তিনি দেননি বলে লিখিতভাবে জানান।
তিনি আরো বলেন বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আব্দুল সাদী ভূল প্রত্যায়নপত্র বাতিলের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। গত ২১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্রে ১৩ ই মার্চ ২০০৪ তারিখে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান প্রদত্ত ০১-১৩/০৪/২১ নং স্মারকে প্রত্যয়ন পত্রটি বাতিল বলে ঘোষণা করেন। এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা দায়রা জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা ৪৪/১৫ চলমান আছে। তিনি জালিতকারী নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।