বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার নাম্বার জালিয়াতির অভিযোগ
ফারুক সাগর(তালা প্রতিনিধি):
তালার শহীদ আলী আহম্মদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার নাম্বার জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।পরীক্ষার নাম্বার জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।সম্প্রতি বিদ্যালয়টির ৮ম শ্রেণির অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় সিনিয়র শিক্ষক মুমতাহিনা মুক্তি বিরুদ্ধে পরীক্ষার নাম্বার জালিয়াতির অভিযোগ করে। গত রবিবার (৭আগস্ট) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
অভিযুক্ত শিক্ষক মুমতাহিনা মুক্তির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা । কে বা কারা তাকে হেনস্থা করার জন্য চেষ্টা করছে ।
অভিযোগকারী মো: রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, তার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে আই সি টি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে।তার মেয়েকে মেধা তালিকা থেকে নিচে নামিয়ে দিতে অন্য একটা মেয়েকে আই সি টি খাতার নাম্বার জালিয়াতি করে ৪০ মার্কস দেওয়া হয়েছে।কিন্ত আই সি টি মূল্যায়নকারী শিক্ষক মারফত অভিযোগকারী অভিভাবক জানতে পারেন ওই মেয়েটা আই সি টি পরীক্ষায় ৩৬ নাম্বার পেয়েছে।
অভিযোগকারী অভিভাবক মনে করেন প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় ঐ শিক্ষক টাকার বিনিময়ে এই নাম্বার জালিয়াতি করেছেন। এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে বলে মনে করেন তিনি ।এসময় তিনি এই জালিয়াতিসহ স্কুলের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিকার পেতে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে আই সি টির শিক্ষক মো. আসলাম আল মেহেদী জানান , আই সি টি বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন করে একজন শিক্ষার্থীকে ৩৬ নাম্বার দিয়েছেন। কিন্তু ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষক এসে কিভাবে তার মূল্যায়নকৃত নাম্বার কেটে নাম্বার বাড়িয়ে দিলেন সেটা তার জানা নেই। এমনটা করায় তিনি অপমানিত হয়েছেন বলেও জানান ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান , খাতা পূন মূল্যায়ন করে নাম্বার যোগ করা হয়েছে।বিষয়টি স্কুলের সভাপতিকে অবগত করা হয়েছে ।তারপরও তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান , প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হওয়ায় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
Please follow and like us: