নারী সহকর্মীকে আপত্তিকর মেসেজ, বরখাস্ত রসিক কর্মকর্তা
নিউজ ডেস্ক:
রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) পানি শাখার এক নারী সহকর্মীকে হোয়াটস অ্যাপে আপত্তিকর মেসেজ দেওয়ায় নগর ভবনের যান্ত্রিক শাখার প্রধান সাজ্জাদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা জানতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এক বৈঠক থেকে ওই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এদিকে আপত্তিকর মেসেজ দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুর ১২টার দিকে নগর ভবনের তৃতীয় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ভুক্তভোগী নারীর ক্ষুদ্ধ স্বজনদের হাতে হেনস্তার শিকার হন সাজ্জাদুর রহমান। পরে মেয়র ও কাউন্সিলররাসহ রসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমানকে নিয়ে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠক শেষে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, যান্ত্রিক শাখার প্রধান সাজ্জাদুর রহমানের বিরুদ্ধে তার মোবাইল ফোন থেকে পানি শাখার সহকর্মী এক নারী আপত্তিকর মেসেজ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে নগর ভবনে ওই নারীর আত্মীয়-স্বজনরা ক্ষুদ্ধ হয়ে হইচই করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত সাজ্জাদুর এবং ওই নারীর পক্ষের লোকজনদের নিয়ে বৈঠকে বসি। বৈঠকে সাজ্জাদুর রহমান মেসেজ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
মেয়র জানান, যেহেতু সাজ্জাদুর রহমান নিজেই তার অপরাধ স্বীকার করেছেন, এ কারণে আমরা বৈঠকে সর্বসম্মতিতে তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। তাকে চিঠিও দেওয়া হবে। এছাড়া ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী আজম আলী ও সাধারণ শাখার প্রধান নাঈম হোসেনকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তারা আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিলে সেটা আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওই নারীকে মেসেজ দিয়েছি এটা সত্য। কিন্তু তেমন আপত্তিকর কোনো মেসেজ দেইনি। আর আমাকে যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, সেই চিঠি এখনো হাতে পাইনি। নারী সহকর্মীকে মেসেজ দেওয়ার ঘটনায় তিনি নিজ কক্ষে এক কাউন্সিলরের লোকজনের দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলেও জানান।