হঠাৎ জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধিতে সাতক্ষীরায় বেড়েছে গণপরিবহনের ভাড়া, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
আসাদুজ্জামান:
সরকারি ভাবে হঠাৎ জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধিতে সাতক্ষীরার সকল রুটে সকাল থেকে ডিজেল চালিত গণপরিবহন চলাচল অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন যাত্রীরা। তাদের কাছ থেকে ইচ্ছামত ভাড়া নেয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। তবে, ভাড়ায় চালিত যান চালকরা অনেকেই অভিযোগ করেছেন রাতারাতি জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন যাত্রীরা ভাড়া বেশী দিয়ে তাদের গাড়ীতে উঠতে চাচ্ছেননা। এ ফলে আজ অনেকেই ভাড়া না পেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। এদিকে, জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধিতে পণ্য পরিবহনে প্রভাব পড়েছে ভোমরা স্থলবন্দরে। শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে পুন:নির্ধারিত অস্থায়ী ভাড়ায় ভোমরা থেকে দেশের বিভিন্ন অ লে ট্রাক ছেড়ে গেছে।
জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার কারণে আগের ভাড়ার সাথে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা যোগ করে পণ্যবাহি ট্রাকের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন ভোমরা স্থলবন্দর ট্রান্সপার্ট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। তিনি আরো জানান, ভোমরা থেকে ঢাকায় গড় পড়তায় ট্রাক ভাড়া ছিল ২০ হাজার টাকা। জ্বালানী তেলের মুল্যবৃদ্ধির পর আজকে সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২২ হাজার টাকা। অন্যদিকে ভোমরা থেকে সিলেটে ট্রাক ভাড়া ছিল ২৮ হাজার টাকা। আজকে সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩১ হাজার টাকা। সরকারি ভাড়া নির্ধারনের হার জানতে পারলে সেই অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারন করা হবে বলে তিনি আরো জানান।
সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু জানান, সাতক্ষীরা-খুলনা ও সাতক্ষীরা-যশোর রুটসহ জেলার সকল রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সকালের দিকে ভাড়া নিয়ে দ্বিধায় গণপরিবহনের কিছুটা স্বল্পতা ছিল। সরকারী ভাবে বাসভাড়া বৃদ্ধির কোন নির্দেশা না দেওয়ায় শ্রমিকরা আগের ভাড়ার সাথে মাথাপিছু ১০-২০ টাকা বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাস চলাচল করেছে। এদিকে, ঢাকাগামী পরিবহন ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকা বেশি ভাড়ায় চলাচল করছে বলে পরিবহন সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য: এর আগে শুক্রবার রাতে জ¦ালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষনা শোনা মাত্রই সাতক্ষীরার অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পগুলোতে হঠাৎ করে রাত সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ করেই তেল দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে পালিয়ে যায় পাম্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এতে করে জ্বালানি তেল নিতে আসা যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে জ¦ালানী তেলের অভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দূরদূরান্ত থেকে আসা সাধারণ পথচারীসহ জরুরী কাজে নিয়োজিত যানবাহনগুলোকে। অধিক লাভের আশায় পেট্রোল পাম্প মালিকরা জ্বালানি তেল মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে রাত ১২ টার আগেই পাম্প বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ জ¦ালানি তেল নিতে আসা যানচালকদের। এ সময় জ¦ালঅনি তেল নিতে বিভিণœ শ্রেনী পেশার মানুষ পেট্রোল পাম্পে বিভোক্ষ করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।