ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলন
শহর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে জোরপূর্বক অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কামালনগর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আনারুল ইসলাম রনি।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি গত ২০১৯ সালে সাতক্ষীরার রসুলপুর মৌজায়, খতিয়ান নং, ডিএস ৪৮৪, এস এ ৪৪৯ নং খারিজ মতে ৪৪৯/২০ নং খন্ড যার হোল্ডিং ২২৩৭. বুজরাত ১৮২৬ নং ডিপি ১০৬৬ নং খতিয়ানে দাগ নং সাবেক ১৬৮২, হাল ৩১৪ দাগে বিলান ৬১ শতকের মধ্যে এস এ রেকর্ডীয় মালিকের ওয়ারেশের কাছ থেকে ২.৬৮ শতক জমি অপ্রত্যাহার যোগ্য রেজিস্ট্রি পাওয়ার অব এ্যাটর্নী গ্রহণ করে ভোগদখল শুরু করি। এর আগে একই দাগের অন্য শরিকদের নিকট থেকে ওই দাগের সম্পত্তি (২.৬৮ শতক বাদে) ক্রয় করেন কুলিয়া গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর পুত্র এমাদুল ইসলাম। পরবর্তীতে আমি ওই সম্পত্তির শরিকদের নিকট থেকে ২.৬৮ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। সম্প্রতি এমাদুল ইসলাম উক্ত ৬১ শতক সম্পত্তি পুরোটাই অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে দেং ১৬৩/২১ নং মামলায় ১৫১ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপরও পুরো ৬১ শতক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিলে এমাদুলগং ডিবি পুলিশের অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ আগস্ট ২২ তারিখে বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে বসাবসি হলেও সেখানে কোন সমাধান হয়নি। অথচ ০৪ আগস্ট ২২ তারিখে বহু লোকজন ভাড়া করে এমাদুল ইসলাম সেখানে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। আমি ৪ আগস্ট ২২ তারিখে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের এস আই হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ করার জন্য বলেন এবং সন্ধ্যায় কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু তারা পুলিশের কথা উপেক্ষা করে কাজ করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সহযোগি আব্দুল করিম এর ব্যবহৃত ০১৭৪০ ৯৬১০৮০ নাম্বারে এমাদুল ইসলাম বিকাল ৩.২৬ মিনিটে ০১৯৩৯ ০২৪২৩৩ নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে বলে“তোদের এত বড় সাহস পুলিশ নিয়ে গেছিস, গরম ডিম দেবো, তোদের নামে একডজন মামলা দেবো, প্রয়োজনে দুই কোটি টাকা খরচ করবো, রনির জমিতে যেতে বল। তারপর দেখ কয়টা মামলা লাগে”। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছি। দীর্ঘ ১০ বছর পৌর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমার বৈধভাবে ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে কালো টাকার প্রভাবে দখলের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ওই প্রবাসী এমাদুল ইসলাম। অথচ আমি আওয়ামীলীগের কর্মী হয়েও আমাকে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মান করে যাচ্ছে। তিনি অবৈধ দখলদার এমাদুলের কবল থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি রক্ষা এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানির হুমকির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।