সাতক্ষীরায় মাদক মামলার আসামী হবি কর্তৃক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় ইটভাটায় কাজের প্রতিশ্রুতিতে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে কাজ না করায় এবং ফেরত না দিয়ে মাদক মামলার আসামী হবি কর্তৃক উল্টো সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের
আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, সদরের বল্লী ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের মৃত শেখ গোলাম সরোয়ারের পুত্র ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাবিবুর রহমান।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে ভাটপাড়ায় ইটভাটা পরিচালনা করে আসছি। গতবছর ইটভাটার মিল নেওয়ার জন্য প্রতিবেশী কিনু সরদারের পুত্র হাবিবুর রহমান হবির শ্যালক তালার জালালপুর গ্রামের শাহাজানকে নিয়ে আমার কাছে আসেন হবি এবং দাদন হিসেবে টাকা দাবি করেন। সে সময় আমি বলি “আমি শাহাজানকে চিনি না, যদি হবি টাকার সকল দায় দায়িত্ব নেয় তাহলে আমি টাকা দিতে পারি। সে সময় হবি সকল দায়দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এক পর্যায়ে হবির বাড়িতে বসেই তার মেঝ ভাই বজলুর রহমানের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বায়না করি। সে সময় তাদের বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এরপরও বিভিন্ন সময়ে মোট ২লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আমি হবির কাছেই প্রদান করি। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মাজেদ টাকার দেওয়ার বিষয়টির স্বাক্ষী আছেন। কিন্তু ভাটার মৌসুম চালু হলেও তারা ভাটায় ওঠেননি। তারা ভাটায় না ওঠায় হবির কাছে টাকা ফেরত চাইলে আজ দেই, কাল দেই করে তালবাহানা করতে থাকেন।
এ বিষয়ে তার বড় ভাই মতিয়ারের কাছে অভিযোগ করলে তিনি ২ লক্ষ টাকা এখনি দেবেন এবং বাকী টাকা পরে দেবেন বলে আশ^াস দিলেও পরবর্তীতে কোন টাকা দেননি। এখন ওই বজলুর রহমান বলছেন আমি যে ২০ হাজার টাকা হাতে করে নিয়েছি সেই টাকা আমি দিতে পারি। বাকী টাকা হবির কাছে দিয়েছো তার কাছ থেকেই নাও। তিনি আরো বলেন, হবি ও তার ভাই বজলু প্রতারক ও পর সম্পদ আত্মসাতকারী। ইউনিয়নের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুভাষের সন্তানকে চাকুরি দেওয়ার নামে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। যার প্রমান আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া গোপালগঞ্জে ফেন্সিডিলের চালানসহ গ্রেফতার হয় হবি।
তারপরও প্রতিবেশি হিসেবে আমার কাছে তার শ্যালকের মিল দেওয়ার জন্য দাদন চাইলে আমি সরল মনে টাকা দেই। তবে পুরোটাকাই আমার কাছ থেকে গ্রহণ করে হবি। তিনি ওই টাকা তার শ্যালক শাহাজানকে দিয়েছেন কি না তা আমার জানা নেই। অথচ আমার ২লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বিভিন্ন চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন ওই প্রতারক হবি।
আমার টাকা না দেওয়ার জন্য গত ২ আগষ্ট ২০২২ তারিখে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে মিথ্যাচার করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করে ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি উক্ত সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই প্রতারক হবির কবল থেকে তার পাওনা টাকা উদ্ধারের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।