তুরস্কে পৌঁছেছে ইউক্রেনের শস্যবাহী প্রথম জাহাজ
অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছয় মাস চলছে। এখনো চলছে দুপক্ষের লড়াই। তবে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে খাদ্যশস্য নিয়ে চুক্তির পর এই প্রথম শস্যবাহী একটি জাহাজ তুরস্কের বসফরাস প্রণালিতে পৌঁছেছে।
তুরস্ক ও ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সোমবার সকালে ‘রাজোনি’ নামের সিয়েরা লিওনের পতাকাবাহী জাহাজটি ওডেসা থেকে লেবাননেরডড ত্রিপোলি বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু জাহাজ যাত্রা করবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
জাতিসংঘ ও তুরস্ক আলোচনার মাধ্যমে স্থির করেছে যে সাগরের এ কটি নিরাপদ করিডোর দিয়ে এই শস্যবাহী জাহাজ চলবে। প্রথম জাহাজটি ২৬ হাজার টন শস্য বহন করছে।
কৃষ্ণসাগরে অবরোধ আরোপের কারণে গোটাবিশ্বে যে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা অস্বীকার করছে রাশিয়া। তবে গত মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে নিরাপদে শস্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আর এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জাতিসংঘ এবং তুরস্কও সই করে।
চুক্তির শর্ত বলছে, ইউক্রেন থেকে খাদ্যবাহী কোনো জাহাজে রাশিয়া আক্রমণ করবে না, তবে এসব জাহাজে করে ইউক্রেন যেন অস্ত্র আনা নেওয়া করতে পারে তা নিশ্চিত করবে তুরস্ক।
ইউক্রেন বলছে, ওডেসা ও তার আশপাশের বন্দরগুলোতে আরো ১৬টি জাহাজ ৬ লাখ টন খাদ্যশস্য নিয়ে অপেক্ষা করছে। এসব খাদ্যপণ্য আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেখানে সংকট রয়েছে, সেখানে রপ্তানি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্যশস্য রপ্তানির দিক থেকে ইউক্রেন বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। সানফ্লাওয়ার তেলের ৪২ শতাংশ, ভুট্টার ১৬ শতাংশ এবং গমের ৯ শতাংশ উৎপাদিত হয় দেশটিতে। ইউক্রেনের গম সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হওয়ার প্রথম তিনটি দেশের সারিতে রয়েছে মিসর, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ।
সূত্র: বিবিসি