নির্বাচনী প্রতিহিংসা: দেবহাটায় যুবককে ফাঁসাতে যৌন হয়রানীর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের
স্টাফ রিপোর্টার:
দেবহাটায় নির্বাচনী প্রতিহিংসার জের ধরে হাসান গাজী (৪০) নামের এক যুবককে ফাঁসাতে স্থানীয় বদ স্বভাবের নারীকে দিয়ে থানায় যৌন হয়রানীর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন পরাজিত ইউপি সদস্য শেখ মোকাররম হোসেন। সম্প্রতি উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জোয়ার গুচ্ছগ্রামে এঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী হাসান গাজী ওই গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে।
রোববার হাসান গাজীর প্রতিবেশি আব্দুল হামিদ সরদারের স্ত্রী জেসমিন খাতুন আকর্ষিক তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় যৌন হয়রানীর অভিযোগটি দায়ের করলে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেননা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে রোববার দিবাগত রাতে জোরপূর্বক হাসান গাজী জেসমিন খাতুনের যৌন হয়রানীর চেষ্টা করে বলে উল্লেখ করা হলেও, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ দায়েরের আগ পর্যন্ত বিন্দুমাত্র অবগত ছিলেননা এলাকার কেউ-ই।
ভুক্তভোগী যুবকের বাবা মুনসুর গাজীসহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেখানকার মেম্বর ও সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানের ওপর হামলা মামলার অন্যতম আসামী শেখ মোকাররম হোসেনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন হাসান গাজী। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে হাসান গাজীকে বিভিন্ন সময়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন মোকাররম হোসেন।
সম্প্রতি পরাজিত মেম্বর শেখ মোকাররম হোসেন তার পোষ্য ওই নারীকে দিয়ে হাসান গাজীকে শায়েস্তা করতে তার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা যৌন হয়রানীর অভিযোগটি দায়ের করিয়েছেন বলেও জানান স্থানীয়রা। তবে এসংক্রান্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরাজিত মেম্বর মোকাররম হোসেন।
এব্যপারে অভিযোগ দায়েরকারী নারী জেসমিন খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে বরং সাংবাদিকদের থানায় গিয়ে তার দায়েরকৃত অভিযোগ দেখে নিতে বলেন। অপরদিকে ওই নারীর শাশুড়ি হামিদা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, যৌন হয়রানীর এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। তার পুত্রবধূ একটি প্রভাবশালী মহলের প্ররোচনায় পড়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও তিনি জানান।