জোটে বহুরূপী বিএনপি
নিউজ ডেস্ক:
বর্তমান সরকারের পতন এবং রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘একসঙ্গে এক জোটে’ কাজ করবে বিএনপি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
সম্প্রতি জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আ স ম আবদুর রব যৌথভাবে এ ঘোষণা দেন।
এদিকে সাংবাদিকদের সামনে এমন কথা বললেও বিএনপি-জেএসডির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ভিন্ন কিছু নিয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা নেতাকর্মীরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি একটি বহুরূপী দল। নিজেদের সুবিধার্থে তারা জোট গঠন করে। সুবিধা মতো মত বদলায়। এসব নিয়ে জোটগুলোর সঙ্গে দলটির ঘটেছে সম্পর্কের অবনতি।
এদিকে অনেকেই বলছেন, জেএসডির সঙ্গে ২০১৮ সালে যে সম্পর্ক ছিল, বর্তমানে তাও নেই।
জেএসডির সঙ্গে বৈঠকে থাকা কয়েকজন নেতা জানান, জোটের বিভক্তি স্পষ্ট। জাতীয় ইস্যুতে সিদ্ধান্ত বিএনপি নেয়। জোটের অন্য দলগুলোর সঙ্গে তারা তেমন সমন্বয় করে না। যেহেতু নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই বিএনপি এখন জেএসডির সহানুভূতি পেতে তাদের সঙ্গে বসছে। আলাপ-আলোচনা করছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপি দৌড়ঝাঁপ করছে। এর বেশি কিছু নয়। বিএনপি আর আগের জায়গায় নেই।
জোটের এ বিভাজন নিয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে এখন বিভিন্ন সমস্যা চলছে। এ অবস্থায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথাব্যথা অপ্রত্যাশিত। বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, তাদের দল গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলছে।
আ স ম আবদুর রব দাবি করেছেন, কিছু নেতা ক্ষমতার লোভে দল বিক্রি করতে চাইলেও জোটে কোনো বিভক্তি নেই বলে মনে হয়। আমরা আগেও সুসংগঠিত ছিলাম, এখনো সুসংগঠিত আছি। ভবিষ্যতেও থাকবো।
তবে দলীয় সূত্র জানায়, জোটের অধিকাংশ প্রভাবশালী নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তাদের সক্রিয় করার উদ্যোগ নেই। দুই কার্যালয়কে ঘিরে শীর্ষ নেতাদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের বিষয়টিও এখন প্রকাশ্য। তাদের ঘিরে পৃথক বলয় সৃষ্টি হচ্ছে। এমন চললে বিএনপি মুখে যতোই বলুক, এ জোট আর বেশিদিন টিকবে না।