রায় শুনে নিজেকে ‘নির্দোষ’ দাবি করলেন প্রদীপ
নিউজ ডেস্ক:
পুলিশের প্রিজন ভ্যানে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রথমে চুমকি কারণকে ও পরে প্রদীপ কুমার দাশকে কারাগার থেকে আদালতে নেয়া হয়। এ সময় দুজনকেই বিমর্ষ অবস্থায় দেখা যায়। বুধবার সকালে এ দম্পতিকে আদালতে তোলা হয়।
রায় ঘোষণার আগে কিছুটা চুপচাপ থাকলেও রায় ঘোষণার পর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় প্রদীপকে। এ সময় অর্জিত সম্পত্তি বৈধ ও চক্রান্তের স্বীকার বলে দাবি করেন তিনি। একই দাবি করেন স্ত্রী চুমকিও।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় প্রদীপকে ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমানা ও সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে আনা সবকটি অভিযোগ আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। মামলার রায়ে প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও চুমকি কারণের ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া চার কোটি টাকা জরিমানার পাশাপাশি তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
অন্যদিকে, এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী সমীর দাশগুপ্ত।
গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ মামলায় দুদকপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর ২৭ জুলাই রায় ঘোষণার দিন ধার্য করে আদালত।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট মামলাটি করেন দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয় আদালত। ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।
এর আগে, প্রদীপের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের জুন মাসে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রদীপ ও চুমকির নামে অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্যও পান দুদক কর্মকর্তারা। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য বলা হলে একই বছরের মে মাসে দুদকে বিবরণী জমা দেন তারা।