আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কের ঘোলঘোলায় নিরাপত্তার স্বার্থে সড়ক বাতি স্থাপন সময়ের দাবী
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি টু সাতক্ষীরা সড়কের কুলতিয়া মোড় সংলগ্ন ঘোলঘোলা নামক স্থানে সীমানা পিলার ও পথচারীদের জান-মালের নিরাপত্তায় সড়ক বাতি স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনি উপজেলার সীমানা পিলার কুল্যা গ্রামের কুলতিয়া মোড় সংলগ্ন ঘোলঘোলা নামক স্থানে স্থাপিত। ভালুকা চাঁদপুর কলেজ মোড় হতে বুধহাটা গামী সড়কের মাঝ বরাবর সীমানা পিলার নির্মান করেন আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। সড়কের একপাশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও অপরপাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি /ভাস্কর্য সম্বলিত সীমানা পিলার নির্মান করা হয়। কুলতিয়া এলাকাটি খুবই জনমানব শূন্য ফাঁকা জায়গা হওয়ায় বিকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে রাত ৯-১০ টা পর্যন্ত এক শ্রেণির সন্দেহজনক মানুষের চলফেরা এবং রাত ১২টার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত দস্যু প্রকৃতির মানুষের অবস্থান দেখা যায় বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। ইতিপূর্বে ডাকাতি, ছিনতাই, পিটিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে আহত করার মত ঘটনা ঘটেছে এখানে। সম্প্রতি কে বা কারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্কার্যে কাদামাটি দিয়ে বিকৃত করা হয়। যা বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার সিহাবুল ইসলাম সিহাবের নেতৃত্বে পরিষ্কার করা হয়।
পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম এর তত্ত্বাবধানে সীমানা পিলারের আঙ্গিনার ঝোপঝাপ পরিষ্কার করা হয়। এধরণের দেশদ্রোহী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে এবং ছিনতাই, ডাকাতিসহ দস্যু প্রকৃতিদের হাত থেকে পথচারীদের নিরাপত্তা দিতে সীমানা পিলার সড়কের পাশে সড়ক বাতি স্থাপনের জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। যাতে দূর থেকে ঘটনাস্থলে কারও উপস্থিতি টহলরত পুলিশসহ পথচারীরা দেখতে পাবে বলে ধারণা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। সাথে সাথে এলাকার নিরাপত্তা ও অপরাধচক্রকে প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানান হয়েছে।