শ্যামনগরের পশ্চিম দূর্গাবাটি বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গে রিং বাঁধের কাজ সম্পন্ন
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগর
অবশেষে ৫ দিনের শেষে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গে রিং বাঁধের কাজ সম্পন্ন হলো ৷ খোলপেটুয়া নদীর বেড়ীবাঁধের রিং বাঁধ দিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে কয়েক হাজার মানুষ সেচ্ছায় শ্রম দিয়ে অবশেষে রিং বাঁধ দিতে সক্ষম হয়েছে ৷ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহনে বাঁশ দিয়ে পাইলিং করে ও বালুর বস্তা ফেলে এই বাঁধের কাজ শুরু করা হয়।
গত ১৫ জুলাই শুক্রবার রাতে দূর্গাবাটি এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর প্রায় ২০০ ফুট এলাকাজুড়ে উপকুল রক্ষা বেঁড়িবাধটি ভেঙ্গে যায়।
এতে করে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের অন্তত ১২টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়। ভেসে যায় হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানিবন্দী হয়ে হয়ে পড়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার।
জিল্লুর রহমান নামে একজন বলেন, এলাকায় পানি প্রবেশ ঠেকাতে সাড়ে তিন হাজার মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে রিং বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এবার পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প দেখিয়ে টাকা তুলে নেবে। প্রতিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারে দেখা যায় না। এই এলাকার নিজেদের জান মাল বাঁচাতে বাঁধ নির্মাণ করে আর পানি উন্নয়ন বোর্ড একাধিক প্রকল্প দেখিয়ে টাকা তুলে নেয়। আমাদের এলাকায় ঝড়ে বা জলোচ্ছাস লাগে না। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদীতে পানি একটু বৃদ্ধি পেলেই বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। টেকসই নির্মাণ ছাড়া আমাদের দুঃখের দিন শেষ হবে না।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক এবং ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় এলাকাবাসী ও এনজিও শ্রমিকসহ প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার উপকূলীয় মানুষের অংশগ্রহনে বেড়িবাঁধ মেরামত কার্যক্রম শেষ হয়েছে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, রিং বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানান, আল্লাহর অশেষ রহমতে রিং বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়েছে। এলাকার আর পানি প্রবেশ করছে না।