সেই নবজাতকের দায়িত্ব নিতে চান ব্যবসায়ী
নিউজ ডেস্কঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিল ছয় বছরের শিশু কন্যা সানজিদা। একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্টাসনোগ্রাফি শেষে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে ফিরছিলেন তারা। হঠাৎ বেপরোয়া একটি ট্রাক চাপা দেয় তাদের। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় ওই তিনজনের। তবে অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ট হয় ফুটফুটে এক নবজাতক।
শিশুটির ডান হাতের দুইটি হাড় ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ময়মনসিংহের লাবিব হাসপাতালে। এদিকে তার চিকিৎসা ব্যয়ভারসহ সব দায়িত্ব নিতে চান ত্রিশালের এক ব্যবসায়ী।
হাসপাতালের পরিচালক মো. শাহজাহান জানান, ওই ব্যবসায়ী নিয়মিত শিশুটির খোঁজ-খবর রাখছেন।
এদিকে শিশুটিকে অনেকেই দত্তক নিতে চাইলেও তাকে দত্তক দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা
এর আগে, শনিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ত্রিশালের কোর্টভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা। এ সময় অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে এক সুস্থ নবজাতক। ভূমিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় পুলিশ ও আশপাশের লোকজন। পরে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে নেয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে নেয়ার পরই জানা যায় জীবিত আছে নবজাতক কন্যাটি।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতকটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক্সরে রিপোর্টে জানা যায় তার ডান হাতের দুইটি হাড় ভেঙে গেছে।