সহকারী জজ পদে চাকুরি নেয়ার পর নিরিহ মানুষদের অত্যাচার ও নির্যাতন করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
আসাদুজ্জামানঃ
সাতক্ষীরার শিবপুর ইউয়িনের জগন্নাথপুর গ্রামের নাশকতা মামলার
আসামীর পুত্র কর্তৃক প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের প্রত্যায়ন দেখিয়ে
সহকারী জজ পদে চাকুরি নেয়ার পর এলাকার নিরিহ মানুষদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও
নির্যাতন করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। সদর উপজেলার ৫নং শিবপুর
ইউনিয়ন বাসীর ব্যানারে রবিবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে উক্ত
মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, হাজী
আব্দুর রহমান, জোহর আলী, মাষ্টার অজয় কুমার সরকার, মোহাম্মদ হাবিব, নজরুল ইসলাম
প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জগন্নাথপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা
বিরোধী শক্তি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়া তার দুই ভাই
আরাবুল ইসলাম ও জুলফিকার আলী ইউনিয়ন যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে আছেন। তার
আপন চাচাতো ভাই জুয়ের হোসেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের
মামলাও রয়েছে। শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে জ¦ালাও
পোড়াও এর সাথে জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়। যার মামলা নং- ৫০৪/১৫। উক্ত
মামলাটি জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি শহীদুল ইসলামের বড়পুত্র
আজহারুল ইসলাম সোহাগ তথ্য গোপন করে নিজেকে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান উল্লেখ
করে একটি প্রত্যায়নপত্র ম্যানেজ করে সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। এরপর
থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শহীদুল ইসলাম ও তার পুত্র আজহারুল ইসলাম সোহাগসহ তাদের
পরিবার। সোহাগের বর্তমান কর্মস্থল খুলনাতে হওয়ায় প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়িতে এসে
নিজের পরিবারের সদস্য এবং জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব
বিস্তার করেন। অন্যয়ভাবে এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষদের অত্যাচার করেন। তুচ্ছ বিষয়ে
সাধারণ মানুষকে মারপিটসহ নানান ভাবে হয়রানি করেন। এমনকি অত্র এলাকার সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের অজয় কুমার সরকার ও মহাদেব চন্দ্র বালাকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত
রয়েছেন। বর্তমানে অজয় কুমার ও মহাদেব চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছেন। তারা পুলিশের
কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। তারা আরো বলেন, সম্প্রতি পবিত্র ঈদ উল
আযহার নামাজ শেষে সোহাগের উপস্থিতিতে তুচ্ছ ঘটনায় অসহায় মুসুল্লীদের উপর হামলা
চালিয়ে আহত করে তার চাচা আরাবুল ইসলাম, আয়ার আলী, ভাই মাহবুবুল ইসলামসহ
অনেকেই। বর্তমান তার ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে গ্রামবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে তার চাচা জুলফিকার আলী ভোটে পরাজিত হওয়ায় তারা এলাকাবাসীর উপর ক্ষিপ্ত
হয়েছেন। এই ক্ষোভের জেরে সোহাগ সহকারী জজ পদে চাকুরি পাওয়ার সাথে সাথে সাধারণ
মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি
প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। মানববন্ধন শেষে তারা একই দাবীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ
সম্মেলন এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারক লিপি পেশ করেন।##