সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসে জেলা আ’লীগের আলোচনা সভা, দোয়া ও খাদ্য বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় দুঃশাসনের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে দেশরত্ন শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে লোচনা সভা, দোয়া ও খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাতক্ষীরা শহরের অদূরে অবস্থিত প্রবিণ আবাসন কেন্দ্র বৃদ্ধাশ্রমে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করে।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা, বৃদ্ধাশ্রমের অবস্থানরত প্রবীণ মা-বাবাদের নিকট খাদ্য সামগ্রী বিতারণ ও দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটি সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্যা ডেইলি পিপলস্ টাইম এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আপাকে।
শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করা হয়।
তিনি বলেন, নেত্রীর সেই কষ্টের কথা মাথায় রেখে আমরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকা মা বাবাদের কাছে নেত্রী ও তার পরিবারের জন্য দোয়া নিতে এসেছি।
এ সময় উপস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, এক-এগারোর রঙিন স্বপ্নে বিভোর। তবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যারা নানান স্বপ্ন দেখছেন , বাংলাদেশের মানুষ তাদের সে স্বপ্ন সফল হতে দেবে না।
তিনি বলেন, আমরা সকলেই জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করব। তিনি আছে বলেই আমরা আছি, এবং আমরা কাজও করতে পারছি। তিনি না থাকলে হয়তো আমরা কাজ করতে পারতাম না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাহানা মহিদ বুলু, বৃদ্ধাশ্রমের সভাপতি ও জেলা জাসদের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা কাজী আক্তার হোসেনের, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এড. আজহার হোসেন, সদস্য ও অতি: পিপি এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতা’র প্রধান সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা কাজী হেদায়েত হোসেন(রাজ)।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসদের সাধাবণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিস আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম খান বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত হাসান রাসেল, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি কাজী মারুফ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলঙ্গীর হোসেন, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান, ৩ নং ওয়ার্ড আওমী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, কাজী সাহিদ হাসান দোলন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ এজাজ উদ্দীন তাপস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমুল বাপ্পি, ছাত্র লীগ নেতা শেখ জুবায়ের আল জামান প্রমুখ।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন ।
Please follow and like us: