কালিগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধার কবরস্থানে ভাঙচুর, ঘটনায় মামলা
আরাফাত আলী :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে বীরমুক্তিযোদ্ধার কবরস্থান ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ জুলাই উপজেলার নলতা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে। এঘটনায় বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোছাঃ খোদেজা খাতুন (৬৫) বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নলতা ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফার ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে একই গ্রামের মৃত এলাহী বক্সে’র ছেলে ইসরাঈল হোসেনের জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই সূত্রধরে গত ৮ জুলাই বিকেল ৪ টার দিকে ইসরাঈল গং বে-আইনী জনতা দলবন্ধে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অনধিকারভাবে আলমগীরের বাড়িতে প্রবেশ করে মাটি কেটে আলমগীরের বসতঘরের পাশে ফেলাতে থাকে।
ওই সময়ে আলমগীরসহ তার পরিবারের সদস্যরা মাটি ফেলতে নিষেধ করলে ইসরাঈল গং তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করতে উদ্যত হয়। এরপর আলমগীর হোসেন স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানালে পরিষদ থেকে গ্রামপুলিশ এসে ইসরাঈল গংদের কাজ করতে নিষেধ করে। কিন্তু ইসরাঈল গং সে কথায় কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। পরবর্তীতে গত ১১ জুলাই রাত ৮ টার দিকে ইসরাঈল গং আবারো দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে প্রবেশ করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী খোদেজা খাতুন প্রতিবাদ করলে ইসরাঈল গং এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে অনধিকারভাবে কবরস্থানে প্রবেশ করে বীরমুক্তিযোদ্ধার কবর ভাঙচুর করে।
এদিকে অভিযুক্ত ইসরাঈল হোসেনের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। সে কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক লিটন বিশ্বাস জানান, এঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে (নং-১৩)। আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।