আশাশুনি স্বামীকে বিষ খাইয়ে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধিঃ
আশাশুনি উপজেলার বড়দল
ইউনিয়নে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে সহজ সরল স্বামীকে
খাদ্যের সাথে বিষাক্ত পয়জন খাইয়ে জমি লিখে নেওয়ার
অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় এজাহার দাখিল ও
ডিআরও বরাবর দলিল বাতিলের আবেদন করা হয়েছে।
বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামের মৃত হাজী বাবর আলী
মোল্যার ছেলে শফিকুল স্ত্রী সন্তানদের রেখে ইটভাটায় কাজ
করতে যায়। সেখানে ধুরন্ধর ও একাধিক বিবাহকারী রাজাপুর
গ্রামের গোলদার শেখের কন্যা মনোয়ারার সাথে তার পরিচয়
হয়। ধুরন্ধর মনোয়ারা শফিকুলকে ছলনা করে বিয়ের বাধনে
আটকে ফেলে। এরপর গ্রামে ফিরে রাজাপুরে নিয়ে বসবাস
করতে থাকে। যেখানে মনোয়ারার আগের ঘরের মেয়ে ও
জামাইও বসবাস করে। মনোয়ারা, তার কন্যা খুকুমনি ও
জামাই নূর ইসলাম ষড়যন্ত্র করে শফিকুলের উপার্জিত ১২
বস্তা ধান, সহায় সম্পদ, সাংসারিক জিনিসপত্র ও টাকা
আত্মসাতের কৌশল আটতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায়
২৬ জুন রাতে খাদ্যের সাথে বিষাক্ত দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ালে
তার শরীরে জ্বালা পোড়া ও মস্তিস্কে প্রভাব পড়তে শুরু করে।
এক পর্যায়ে তিনি আত্মভোলা মত হয়ে পড়লে ২৮ জুন
তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে আশাশুনি
সাব রেজিস্ট্রী অফিসে নিয়েূ ৪৯ শতক জমি রেজিষ্ট্রী
করে নেয়া হয়। ৩০ জুন তাকে রাজাপুর থেকে বের করে দিলে
সে বাইনতলা যায়। বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে স্থানীয়
ভাবে চিকিৎসা করায়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ৫ জুলাই
তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাড়ির
লোকজন জানতে পেরে প্রাথমিক খোজ খবর নিয়ে এদিনই
সাতক্ষীরা ডিআরও বরাবর দলিল বাতিলের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়। ৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সামান্য
উন্নতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মত বাড়ি র্ফিরে ধুরন্ধর
২য় স্ত্রী মনোয়ারা, তার কন্যা খুকুমনি ও জামাতা নুর
ইসলামকে আসামী করে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা
হয়। পুলিশ তদন্তু শুরু করেছে, অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে।
কোনো আত্মভোলা, পাগল, মস্তিষ্ক বিকৃত, নাবালক-
নাবালিকা ব্যক্তির জমি রেজিঃ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা
থাকলেও কিভাবে এমনটি হলো এনিয়ে পরিবারের সদস্য ও
এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন উঠছে। দলিলটি রেজিঃ সম্পন্ন
করা হয়েছে এর জন্য দায়ী কে? এব্যাপারে সাব রেজিস্ট্রার
কাজী নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বক্তব্য নেওয়ার
চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।