ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৯ রোহিঙ্গা আটক
নিউজ ডেস্ক:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসা ৯ রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে দুই নারী, ৪ শিশুসহ ৩ যুবক রয়েছেন।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ৮৩ নম্বর ক্লাস্টারের মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে নুরুল হাকিম, ২৮ নম্বর ক্লাস্টারের খলিলের ছেলে ওমর ফারুক, ৫৪ নম্বর ক্লাস্টারের নুর কবিরের ছেলে মাজেদা বেগম, ৭১ নম্বর ক্লাস্টারের মনিরুল হকের স্ত্রী মমতাজ বেগম, একই ক্লাস্টারের মনিরুল হকের মেয়ে মনিকা বেগম, ১৪ নম্বর ক্লাস্টারের নুরুল আমিনের স্ত্রী হোসনেয়ারা, একই ক্লাস্টারের নুরুল আমিনের ছেলে নুর ছাদেক, আনোয়োর ছাদেক, ৮৩ নম্বর ক্লাস্টারের মো. মরি আহাম্মদের ছেলে জাহেদুল্লা।
সোমবার রাত ১০টার দিকে আটক রোহিঙ্গাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর আগে একই দিন রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পেশকারহাট রাস্তার মাথা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
চরকাঁকড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিদার হোসেন সৌরভ জানান, সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউপির বাংলাবাজার এলাকা থেকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে ৯ জন রোহিঙ্গা চরকাঁকড়া ইউপির পেশকারহাট রাস্তার মাথা এলাকায় আসে। তখন হাতে-পায়ে কাদা মাখা অবস্থায় দুই রোহিঙ্গা নারী, ৪ শিশু ও ৩ যুবক ওই এলাকায় ঘুরাফেরা করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
আটক রোহিঙ্গারা জানান, চট্রগ্রামের চকরিয়া এলাকায় তাদের আত্মীয় থাকেন। তারা আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ভাসানচর আশ্রয়ণ ক্যাম্প থেকে দালালের সহযোগিতায় পালিয়ে আসেন। পরে রাত ১০টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার ভোরে দালালের মাধ্যমে তারা ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।