কলারোয়ায় চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং।। সর্বত্রই প্রতিবাদের ঝড়
কামরুল হাসান।।
কলারোয়ায় বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। দুর্বিষহ গরমে মানুষের যখন ত্রাহিত্রাহি অবস্থা ঠিক তখনই কলারোয়াতে চলছে স্মরণকালের ভয়াবহ এ লোডশেডিং। কলারোয়ার সর্বস্তরের মানুষ বিদ্যুৎ বিভাগের এ অমানুষিক কর্মকান্ডে দারুণভাবে ক্ষোভ জানাচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে তাদের এই চাপা ক্ষোভ বড় ধরনের বিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। সাধারণ গ্রাহকদের দাবি সরকার বলছে দেশে কোন বিদ্যুৎ ঘাটতি নেই তবে কলারোয়াতে কেন এতো লোডশেডিং হবে। তাদের অনেকে আবার বলছে কিছুদিন আগে চৈত্র-বৈশাখ মাসের প্রখর তাপের সময়ও তো বিদ্যুৎ যেতো না। তাহলে এখন হটাৎ ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা কেন। তাদের অনেকের দাবি পল্লী বিদ্যুতের নতুন ডিজিএম আসার পর থেকে কলারোয়ায় বিদ্যুতের এই খারাপ অবস্থা যেটি তারা কোন ভাবেই মানতে পারছেন না। স্থানীয় অনেক আওয়ামী নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাস্য জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ইচ্ছাকৃতভাবে ঘনঘন লোডশেডিং করা হচ্ছে না তো? এদিকে, বিদ্যুৎ বিল প্রদানের জন্য পল্লী বিদ্যুতের কড়া তাগাদা দিয়ে প্রচার প্রচারণা অন্যদিকে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং গ্রাহকদের দারুণভাবে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এবিষয়ে কলারোয়ার শহিদ আলী, সেলিম খান, দামোদরকাটির তজিবুর রহমান, জালালাবাদের ফারুক হোসেন জানান, “বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে এই নাম্বারে (০১৭৬৯৪০১৮২০) ফোন দিলে সারাক্ষণ ব্যস্ত দেখায় আর যদি রিসিভ হয় তাহলে নমনীয় উত্তরের আসায় থাকা গ্রাহককে শুনানো হয় ব্রিটিশ বেনিয়াদের মতো শক্ত কোন বাক্য।” সবমিলিয়ে কলারোয়ার সাধারণ মানুষ এখন যেনো এক প্রকার পল্লী বিদ্যুত কোম্পানির কাছে জিম্মি। অতিদ্রুত যদি লোডশেডিং এর সমাধান না করা যায় তাহলে যে কোন মুহূর্তে কলারোয়ায় ঘটে যেতে পারে বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ।