শ্যামনগরে হত্যার ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন হুমকির প্রতিবাদে এবং হত্যা মামলা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের মারপিটে হত্যার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে বিভিন্ন হুমকি প্রতিবাদে এবং হত্যা মামলা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভেটখালী গ্রামের অর্জুন কুমার মন্ডলের ছেলে শান্তি মন্ডল। তিনি বলেন আমাদের ভিটাবাড়ির সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার মৃত পরেশ কয়ালের পুত্র দেবেন্দ্র নাথ কয়াল গং এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২২ তারিখ সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তায় মাটি ফেলার সময় দেবেন্দ্র নাথ কয়াল, তার দুই পুত্র স্বপন কয়াল, তপন কয়াল, মৃত জগন্নাথ কয়ালের পুত্র তেজেন্দ্র নাথ কয়াল ও সুখদেব মন্ডলসহ কতিপয় ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর হামলা করে। এসময় অর্জুন মন্ডল, কাকা উপেন মন্ডল এবং বড় ভাই রবীন্দ্র নাথ মন্ডলকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এঘটনায় অর্জুন কুমার শ্যামনগর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা করলে দেবেন্দ্র নাথ কয়াল এবং তার সহযোগীরা আমার পিতার কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে ছিড়ে ফেলে মারপিট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে আমার পিতার স্বাক্ষর নকল করে তড়িঘড়ি করে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করে। ওই মামলার কপিতে আমার বড় ভাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ আমার বড় ভাই সুস্থ ছিলেন। শুধুমাত্র আমার ভাইকে হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গভীর চক্রান্ত করে দেবেন্দ্র নাথ কয়াল গং অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করিয়েছে। এছাড়া উল্টো আদালতে আমাকেসহ আমার কাকা এবং কাকাতো ভাইকে বিবাদী করে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। দেবেন্দ্র গংয়ের দায়েরকৃত মামলার আসামী আমার দুই কাকাতো ভাই ভবেশ মন্ডল সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র। সে কলেজ হোস্টেলে থাকে এবং রমেশ মন্ডল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা কলেজে থেকেও দেবেন্দ্র কয়ালের মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছে। আমাদের সহযোগিতা করায় প্রতিবেশী সুলতান গাজীর বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে তারা। এছাড়া হত্যার ঘটনার ৪মাস অতিবাহিত হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট যাতে না আসে সেকারণে টাকা দিয়ে চাপিয়ে রেখেছিল বলে প্রচার দেয় দেবেন্দ্র কয়াল। তিনি আরো বলেন আমি বিষয়টি নিয়ে আদালতের শ্বরনাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করলে দেবেন্দ্র নাথ প্রচার দিচ্ছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হত্যা মামলা থেকে রেহায় পেয়েছি। তোর বড়ভাইয়ের মত তোকেও হত্যা করে অপমৃত্যু বলে চালিয়ে দেবো। মামলা দায়ের করলে পরিবারসহ উচ্ছেদ করা হবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। এঘটনায় আমার পিতা গত ৯ এপ্রিল ২২ তারিখে শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। যার নং- ৬২৭। হত্যা করা হলো আমার বড় ভাইকে আবার আমাদের আসামী করেই উল্টো মিথ্যা মামলা দায়ের করল দেবেন্দ্র কয়াল গং। বর্তমানে তাদের হুমকিতে আমার পরিবারসহ দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি বড় ভাই হত্যাকারী দেবেন্দ্র কয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।