শ্যামনগরে তপোবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন
আশিকুজ্জামান লিমন, শ্যামনগরঃ-
শ্যামনগরে তপোবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি কর্তৃক প্রতারণনার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ৬৬০০/২২ নং রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলার তপোবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠান কোড-৬১০৬১৫১২০১), ডাক-আড়পাংগাশিয়া -এর প্রধান
শিক্ষক রাম রঞ্জন বিশ্বাস ৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে অবসরে যান। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, যশোর কর্তৃক অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ০৬/১২/২০২১ তারিখে। ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে বিধি মোতাবেক কমিটি গঠনের জন্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন সহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করার বিধান রয়েছে । কিন্তু প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাম রঞ্জন বিশ্বাস এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি অসীম কুমার মন্ডল অনৈতিক ভাবে আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে নিয়মিত
ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেন নাই। এমনকি শ্যামনগর উপজেলার বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) -এর সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মনোদীপ কুমার সরকার-কে মেয়াদ উত্তীর্ণ ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দান করেছেন। সহকারী শিক্ষক মনোদীপ কুমার সরকার গত ২৩ মার্চ ২০২২ তারিখ পদত্যাগ পত্র জমা দেন ৷ যা ২৪ মার্চ ২০২২ তারিখে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং-এ অনুমোদিত হয়েছে।
অপরদিকে যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোন কমিটি গঠন না করায় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক “শো-কজ” করেছেন। তাহলে জেলা শিক্ষা অফিসার সাতক্ষীরা কর্তৃক ডিজি মহোদয়ের মনোনীত প্রতিনিধি এবং শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূরমোহাম্মদ তেজারত কর্তৃক কিভাবে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাম রঞ্জন বিশ্বাস মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি অসীম কুমার মন্ডলকে নিয়ে তপোবন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বাছাই পরিক্ষা নিয়েছেন।
তবে এটি একটি প্রতারণার মাধ্যমে পাতানো খেলা বলে মন্তব্য করছেন এলাকাবাসীরা। এ ব্যাপারে মাহফুজুর রহমান তদন্ত পূর্বক এবং তদন্ত না হওয়ার পর্যন্ত এম,পি,ও ভুক্তি করণ বন্ধ রাখার জন্য বিগত ২০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সচিব, (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং গত ১১ মে ২০২২ তারিখে উপ-পরিচালক মাওশি খুলনা অঞ্চল খুলনা এবং জেলা শিক্ষা অফিসার সাতক্ষীরা বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় অবশেষে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে ৬৬০০/২২ নং একটি রীট পিটিশন দাখিল করেন। মহামান্য আদালত হাইকোর্ট ১৯ জুন ২০২২ তারিখে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের বিরুদ্ধে রুল নিশি জারি করেছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, মনোদীপ কুমার সরকার ১৯ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখে ইন্টারভিউ -এর মাধ্যমে শ্যামনগর উপজেলার বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন (মাধ্যমিক বিদ্যালয়)-এর সহকারী শিক্ষক (শাখা) পদে মনোনীত হন। ম্যানেজিং কমিটির ২৩ ডিসেম্বর ২০০৩ তারিখের মিটিংএর সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ঐ পদে নিয়োগ দান করা হয়। কিন্তু, শাখা শিক্ষক পদে ঐ সময় এম,পি,ও ভুক্তিকরণ সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকায় তিনি যোগ-সাজসে জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক শরীরচর্চা পদে নিয়োগ দেখিয়ে সম্পূন অবৈধভাবে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন।
Please follow and like us: