লিবিয়ায় মরুভূমি থেকে ২০ মৃতদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

লিবিয়ার মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া ২০ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকারীদের ধারণা, মরুভূমিতে তৃষ্ণার কারণে তারা মারা গেছেন। বুধবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরুভূমির মধ্য দিয়ে ভ্রমণকারী একজন ট্রাক ড্রাইভার গত মঙ্গলবার মৃতদেহগুলো দেখতে পান এবং পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের এই ঘটনাস্থলটি কুফরা থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার (১৯৮ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং চাদের সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার (৭৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।

কুফরা অ্যাম্বুলেন্সের প্রধান ইব্রাহিম বেলহাসান বুধবার ফোনে জানান, ‘চালক হারিয়ে গিয়েছিলেন … এবং আমরা মনে করি, গত ১৩ জুন মোবাইল ফোনে শেষ কলের পর অর্থাৎ প্রায় ১৪ দিন আগে দলটি মরুভূমিতে মারা গেছে।’

লিবিয়ার কম জনবহুল এই অঞ্চলে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা নিয়মিতই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ফারেনহাইট) ওপরে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে একটি পিকআপ ট্রাকের কাছে মরুভূমির বালিতে পচনশীল মৃতদেহগুলো দেখা যাচ্ছে।

বেলহাসান বলেন, মৃতদেহগুলোর মধ্যে দু’জন লিবিয়ান এবং অন্যরা চাদ থেকে লিবিয়ায় আসা অভিবাসী বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। আর এরপর থেকেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে যুদ্ধ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা লোকদের অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে লিবিয়া।

মূলত উন্নত জীবনের আশায় মরুভূমি এবং ভূমধ্যসাগর জুড়ে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে অভিবাসীরা। কিন্তু সাহারা মরুভূমিসহ বিপজ্জনক এই রুট পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই মারা যায়।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথে অসংখ্য নৌকা দুর্ঘটনা ও জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত দেড় হাজার শরণার্থী ডুবে গেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)