দেবহাটায় শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যাকারী জামাতা সালাহউদ্দীন গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার দেবহাটায় শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জামাতা সালাউদ্দিন সানা (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত বুধবার রাতে দেবহাটার মাটিকুমড়া গ্রামের নিজ বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় আজগর আলীকে (৫৫) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নিহতের মেয়ের সাবেক স্বামী সালাউদ্দিন সানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। গ্রেফতার সালাউদ্দিন সানাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুক্তা ধর বলেন, নিহত আজগর আলী আসামির আপন খালু এবং দ্বিতীয় শ্বশুর। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম বিয়ে করেন। পরে ২০১৮ সালে খালাতো বোন শিল্পী পারভীনকে (২২) বিয়ে করেন সালাউদ্দিন। দিনমজুর সালাউদ্দিন বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিল্পীকে মারধর করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জুন রাতেও তার স্ত্রী শিল্পীকে বেধড়ক মারধর করেন সালাউদ্দিন। খবর পেয়ে শিল্পীর বাবা আজগর আলী সালাউদ্দিনের বাড়ি গিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তখন সালাউদ্দিন যৌতুকের দাবি করলে আজগর আলী এক লাখ টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু তখনই নগদ টাকা না দিলে শিল্পীর সঙ্গে সংসার করবেন না বলে হুমকি দেন সালাউদ্দীন। এসময় সালাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে শিল্পীকে তালাক করিয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি চলে যান আজগর আলী। সিআইডির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এর ফলে আজগর আলীর ওপর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করতে থাকেন সালাহউদ্দীন। সে অনুযায়ী ২১ জুন গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত আজগরকে দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান সালাহউদ্দীন ও তার দুই সহযোগী। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ২২ জুন ভোরে মারা যান তিনি। এঘটনায় দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের হলে ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেছিল সালাহউদ্দীন।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। গ্রেফতার সালাউদ্দিন সানাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মুক্তা ধর বলেন, নিহত আজগর আলী আসামির আপন খালু এবং দ্বিতীয় শ্বশুর। তিনি ২০১৫ সালে প্রথম বিয়ে করেন। পরে ২০১৮ সালে খালাতো বোন শিল্পী পারভীনকে (২২) বিয়ে করেন সালাউদ্দিন। দিনমজুর সালাউদ্দিন বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শিল্পীকে মারধর করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ জুন রাতেও তার স্ত্রী শিল্পীকে বেধড়ক মারধর করেন সালাউদ্দিন। খবর পেয়ে শিল্পীর বাবা আজগর আলী সালাউদ্দিনের বাড়ি গিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। তখন সালাউদ্দিন যৌতুকের দাবি করলে আজগর আলী এক লাখ টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু তখনই নগদ টাকা না দিলে শিল্পীর সঙ্গে সংসার করবেন না বলে হুমকি দেন সালাউদ্দীন। এসময় সালাউদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে শিল্পীকে তালাক করিয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি চলে যান আজগর আলী। সিআইডির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, এর ফলে আজগর আলীর ওপর প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করতে থাকেন সালাহউদ্দীন। সে অনুযায়ী ২১ জুন গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত আজগরকে দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যান সালাহউদ্দীন ও তার দুই সহযোগী। পরে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ২২ জুন ভোরে মারা যান তিনি। এঘটনায় দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের হলে ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেছিল সালাহউদ্দীন।
Please follow and like us: