২৫ জুন বাঙালি আরেকটি বিজয় উৎসব পালন করতে যাচ্ছে: আমির হোসেন আমু
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর আগামী ২৫ জুন বাঙালি জাতি আরেকটি বিজয় উৎসব পালন করতে যাচ্ছে। এ আনন্দ উৎসব হলো পদ্মাসেতুর উদ্বোধন। কারণ, স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে পদ্মাসেতু।
শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ১৪ দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মাসেতু। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্বে আছেন বলে পদ্মাসেতু করা সম্ভব হয়েছে। এ সেতু জাতির মাইলফলক।
আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন, যারা দেশের মধ্যে থেকে দেশের উন্নয়নের বিরোধিতা করে, পদ্মাসেতুর বিরোধিতা করে তারা জাতির দুশমন। এরাই হলো স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও দেশবিরোধী। যখনই পদ্মাসেতু উদ্বোধন করার প্রস্তুতি চলছে তখনই বিএনপির নেতারা বক্তব্য দিয়েছে ’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে ওঠুক আরেকবার’। এ বক্তব্যে প্রমাণিত হয় যে. ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের জিয়াউর রহমান হত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা মৃত্যুর ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। শেখ হাসিনা রয়েছে বলে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। যাদের এ উন্নয়ন অগ্রগতি সহ্য হয় না, তারাই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী। শত্রুরা যতই ষড়যন্ত্র করুক না তা কখনই সফল হবে না।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।