আরো আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী ব্যবস্থা পাঠানোর আহ্বান জেলেনস্কির
ইউক্রেনে আরো আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী ব্যবস্থা পাঠাতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে এখনো এই ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। ইউরোপের কাছ থেকে এখন আমাদের এই ধরনের অস্ত্র প্রয়োজন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
তিনি বলেন, এ ধরনের অস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব সমর্থনযোগ্য নয়।
এদিকে মঙ্গলবার ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্না মালিয়ার বলেছেন, কিয়েভ তার অনুরোধকৃত অস্ত্রের মাত্র ১০ শতাংশ পেয়েছে। তবে ইউক্রেন প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার কামান ব্যবহার করে। বিপরীতে এর ১০ গুণ বেশি কামান ব্যবহার করে রাশিয়া।
সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেইনের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল এবং সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্কের মধ্যকার শেষ সেতুটিও রুশ বাহিনীর হামলায় ধ্বংস হওয়ার পরও তাদের বাহিনীগুলো বেসামরিকদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।
রাশিয়া এখন পুরো ডনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে আর তাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছে ইউক্রেইনীয় বাহিনীগুলো। এ নিয়ে অঞ্চলটিতে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, আগের মতোই সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্ক এবং নিকটবর্তী শহর ও এলাকাগুলোতে তীব্র লড়াই চলছে। দুর্ভাগ্যবশত বেদনাদায়ক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু আমাদের শক্ত থাকতে হবে। ডনবাসে শক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শত্রুরা যত ক্ষতির মুখে পড়বে আগ্রাসন চালানোর মতো শক্তি তার ততই কমে যাবে।
জেলেনস্কি আরো জানান, কিইভের পূর্বে খারকিভ অঞ্চলেও ইউক্রেন ‘বেদনাদায়ক ক্ষতি’ প্রত্যক্ষ করছে, সম্প্রতি রুশ বাহিনীকে সেখানে থেকে হটিয়ে দেওয়ার পর তারা ফের তাদের অবস্থান জোরদার করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। একইসঙ্গে তারা কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।