স্বাস্থ্যসহকারীকে কুপিয়ে জখম,নিরাপত্তার জন্য পুলিশ অথবা আনছার নিযুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
শহর প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা তালায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্যসহকারীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও অথবা আনছার নিযুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান, তালার শিবপুর গ্রামের এস এম নজরুল ইসলামের কন্যা নিগার সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বড়ভাই এস এম কামরুল ইসলাম ১৩ জুন সোমবার সকালে যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবার (পোলিও খাওয়ানোর) দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় যুগিপুকুরিয়া গ্রামের সন্ত্রাসী বিল্লালসহ কয়েকজন ব্যক্তি আকস্মিক ওই কমিউনিটি ক্লিনিকের উপর হামলা ভাংচুর এবং ঔষধ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় আমার বড় ভাই এস এম কামরুল ইসলামকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ও সারা শরীরে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের ধারালো দায়ের কোপে আমার বড় ভাইয়ের মাথায় বড় ধরনের ক্ষত হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে দ্রæত উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে বর্তমানে আমার ভাই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে মূল অভিযুক্ত বিল্লালকে আটক করেছে।
তিনি আরো বলেন আমার বড় ভাই এস এম কামরুল ইসলাম পোলিও খাওয়ানো অর্থ্যাৎ সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলেন। সরকারি কাজ করতে গিয়ে আজ আমার ভাই মৃত্যু শয্যায়। ঘটনাস্থলেও মারাও যেতে পারতো। সেটা হয়তো হয়নি। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে মারপিট করে
সরকারি ভাবমূর্তি নষ্ট করে যে এমন দু:সাহস দেখিয়েছে সেই ব্যক্তির এবং তার সাথে যে সহযোগিরা ছিল তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত না হয়
তাহলে ভবিষ্যতে এধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আর তখন সরকারি কর্মকর্তারা একের পর এক মারপিটের শিকার হবে।
আমার ভাইয়ের অবস্থা অশংকাজনক। বাংলাদেশের কোন ভাই এবং বোনদের উপর এধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেকারনে ভবিষ্যতে পোলিও খাওয়ানোর সময় বা স্বাস্থ্য সেবার কেন্দ্রেগুলোতে নিদৃষ্ট সময় পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েনসহ আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিযুক্ত করা হয় । এই পক্ষে আমি একজন বোন হিসেবে অনুরোধ করছি যাতে আমার দাবিগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত হাতে নেওয়া হয় সে জন্য জোর দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন
তিনি।