আশাশুনির শবদলপুরে জমি নিয়ে বিরোধ পাল্টাপাল্টি মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শবদলপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কালিগঞ্জের চাঁদখালি গ্রামের ইউপি সদস্য আবু বক্কর গাইন ও আশাশুনির শবদলপুরের বাবলু দাস স¤প্রতি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্্েরট আদালতে এসব মামলা দায়ের করেন। আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জমির দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশাশুনি সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশ দিয়েছেন।
চাঁদখালি গ্রামের ইউপি সদস্য আবু বক্কর গাইন জানান, শবদলপুর মৌজার ৮২১ ও ৮২২ দাগে এক একর ১১ শতক জমি কিনে শরীকদের সঙ্গে আপোষ মীমাংসা করে সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। পাশে একটি দোকান ঘর নির্মাণও করেছেন তিনি। হাবড়া নদীর উপর দিয়ে বাঁশের স্যাঁকো পার হওয়ার জন্য নির্মিত রাস্তার জন্য তিনি জমিও দিয়েছেন। ওই জমি তিনি নামপত্তন করে খাজনা দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি উজিরপুর- হাড়িভাঙা সড়কের পাশে তার ঘের সংলগ্ন কিছু সরকারি খাস জমি ডিসিআর নেওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন তিনি। শবদলপুরের বাবলু দাস কোন নিদ্দিষ্ট চৌহার্দি ছাড়াই তার মা ললিতা দাসের নামীয় ও কিছু জমি ৮২১ দাগ থেকে কিনেছেন দাবি করে গত ১০ মে সকাল ৯টার দিকে তার ঘেরের মধ্যের জমি দখল করার চেষ্টা করে। স্থানীয় রবিউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাস, আজগার সরদার, সামছুর গাজী, দেবদুলাল সরকার ও মাজেদ আলী এসে ওই জমি দীর্ঘদিন তার (বক্কর) নিয়ন্ত্রণে মাছের ঘের করার কথা বললে বাবলু তার লোকজন নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি ১২ মে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৮৩২/২২ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালাত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ৩০ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশাশুনির সহকারি কমশিনারকে (ভূমি) নির্দেশ দেন।
এদিকে শবদলপুরের বাবলু দাস জানান, তিনি মা ললিতা রানী দাসের কাছ থেকে পাওয়া ও ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর সামান্য জমি কিনেছেন ৮২১ দাগের মধ্য থেকে। তবে ওই জমির কোন নকশা আছে কিনা বা নির্ধারিত কোন দখলীয় জায়গা আছে কিনা তা তিনি জানতে পারেননি। তবে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত পহেলা জুন তিনি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০১৫/২২ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশ ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশাশুনি সহকারি কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।