স্ত্রীর আত্মহত্যার খবরে কারাগারে ফাঁস দিলেন আসামি

নিউজ ডেস্ক:

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগারে গোলাম মোস্তফা নামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মঙ্গলবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দুই সপ্তাহ আগে গোলাম মোস্তফার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পাওয়ার পর মোস্তফা বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।

মৃত গোলাম মোস্তফা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উতরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম মোস্তফা। তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান।

কারা কমপ্লেক্সের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদি হিসেবে ছিলেন মোস্তফা। এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় রাজধানীর ডেমরা থানার মামলায় গ্রেফতারের পর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে পাঠানো হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওই মামলায় তাকে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২১ সালের জুলাই মাসে ওই কারাগারে তাকে স্থানান্তর করা হয়।

মোস্তফার রুমমেটদের বরাত দিয়ে জেল সুপার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। মোস্তফা বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারাগারের বাথরুমে যান মোস্তফা। সেখানে পরনের ট্রাউজারের রশি খুলে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় বন্দিরা দেখতে পেয়ে কারা কর্মকর্তাদের খবর দেন।

পরে তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে রাত সাড়ে ৮টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)