ফেসবুকে প্রেম অতঃপর  ১ সন্তানের জননী গনধর্ষণের শিকার

শ্যামনগর ব্যুরো:
শ্যামনগরের কৈখালীতে ১ সন্তানের জননী গনধর্ষণের শিকার হয়েছে। ভূক্তভোগীর মাধ্যমে জানাগেছে যে, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুরগাছা গ্রামের মো: আবুল কাশেমের মেয়ে (ছদ্মনাম) জেসমিন বেগম (১৬) সাথে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের সাহেবখালী গ্রামের ইব্রাহিম কয়ালের পুত্র নাজমুল কয়ালের মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠারপর জেসমিনের সাথে খুলনাতে দুইবার দেখা করতে যায় নাজমুল। জেসমিনের যাবতীয় খরচ বহনও করত নাজমুল। তিন মাস সম্পর্কের পর নাজমুল জেসমিনকে বিয়ের জন্য চলে আসতে বলে সাতক্ষীরায়।

জেসমিন ৫ জুন ২০২২ তারিখ সকাল ৬টার দিকে তার ৩ বছরের শিশু সন্তানকে রেখে সাতক্ষীরা চলে আসে। সাতক্ষীরায় নাজমুল মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করার পর জেসমিন ও নাজমুল মোটরসাইকেল যোগে রাত ৯টার সময় কৈখালী সাহেবখালীতে পৌঁছে। একটি বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং সেখানে দাঁড় করিয়ে রেখে কিছু সময় পরে নাজমুল ফিরে এসে জেসমিনকে বলে তার বাড়ী থেকে মেনে নিচ্ছে না। আজ রাত কোথাও থাকতে হবে। পরে তাকে সাহেবখালী আবুল কালামের মৎস্যঘেরীর বাসায় নিয়ে যায়।

মৎস্যঘেরীর বাসায় গিয়ে নাজমুল জেসমিনের সাথে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করে। পরে একুই এলাকার জাহার আলী কয়ালের পুত্র মামুনকে বিস্কুট ও খাবার পানি নিয়ে যায়। এবং নাজমুলের কাছে দেয়। নাজমুল জেসমিনকে খেতে দেয়। জেসমিন নাজমুলের দেওয়া খাবার ও পানি পান করে জেসমিন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সকালে জেসমিন দেখে তার সারা শরীরে কাপড় নেই। এবং বুঝতে পারে তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করা হয়েছে। অন্যদিকে নাজমুল পালিয়ে যায়। জেসমিন কোন রকমে অসুস্থ শরীর নিয়ে রাস্তায় আসলে স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন করেন এবং স্থানীয়দের সহযোগীতায় ইউনিয়ন পরিষদে যায়।

কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রহিম জেসমিনের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারকে অবগত করলে তারা বাড়ী থেকে রওয়ানা দেন । এদিকে কৈখালী পরিষদে থানা পুলিশের এসআই অশোক এবং এএসআই মুরাদ হাজির হয়ে মহিলা মেম্বারের সহযোগীতায় শ্যামনগর থানায় নিয়ে যান।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত নাজমুলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এবং মামুনের সাথে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, ৫ জুন ২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টার সময় তার সাথে তার স্বামী মামুন বালিয়াডাঙ্গা বাবার বাড়ীতে গিয়েছিল। তবে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা শিকার করেন।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, ভিকটিমের অবস্থার অবনতির ফলে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের লোক আসার পর এবং ভিকটিম সুস্থ্য হওয়ার পর তার জবানবন্দির উপর মামলা রুজু করা হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)