সাতক্ষীরায় ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের ঘর ও সরকারি খাস জমি বন্দোবস্তের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি পেশ
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা :
ভূমিহীনদের মাঝে মুজিববর্ষের ঘর বরাদ্দ ও সরকারি খাস জমি বন্দোবস্তের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতি ও বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের পক্ষ থেকে রবিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠণের উপদেষ্টা সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, জেলা ভূমিহীন সমিতির সহসভাপতি আকবর আলী, শিহাবউদ্দিন, পৌর কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, সাংবাদিক মাস্টার সুমন, প্রতিবন্ধি পূর্ণবাসন কল্যান সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, ভূমিহীন নেত্রী গুলশানারা, হাইজাল আলী, শুকুর আলী, খোরশেদ আলী, জাহানারা বেগম, শ্যামনগর ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মোকছেদ আলী, জাহানারা বেগম, আশাশুনির রেজাউল করিম, কুদ্দুস আলী, খলিশাখালির জাহানারা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের একটি অংশের মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে। এদের অনেকেরই নিরপদ আশ্রয় নেই। নেই অন্ন ও বস্ত্রের সংস্তান। এমতাবস্থায় তারা ভূমিহীন হিসেবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। খলিষাখালিতে বসবাসরত ভূমিহীনদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। রাতের আঁঁধারে বাড়ি থেকে ধরে এনে বাবলুসহ দু’ ভূমিহীনকে ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় চালান দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। একআসিাথে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।
বক্তারা আরো বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকার প্রতি উপজেলায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে জমি ও ঘর দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। তিন দফায় দেওয়ার ঘর দেওয়ার পরও সদর উপজেলার অনেক ভূমিহীন ঘর পায়নি। তাই আজকে উপস্থিত ১৮৮ জন ভূমিহীনদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়া তাদের জীবন জীবিকার সুবিধার্থে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দিতে হবে। সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাটকেখালিতে হাট, শ্মশান, মন্দির, পরিত্যক্ত ও প্রানসায়ের খালের দুপাশের ১৩ বিঘা জমি নিয়ম বহির্ভুতভাবে রেকর্ড করে নেওয়া মাতিন জমাদ্দারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই জমি খাস সম্পত্তি হিসেবে ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দিতে হবে। এছাড়া যারা ভূমিহীন সমিতির নেতা পরিচয়ে ভূমিহীনদের বিভিন্ন সূযোগ সুবিধা দেওয়ার নামে একের পর এক চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাবেশ শেষে ভূমিহীন নেতৃবৃন্দের একটি টিম সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ফতেমা তুজ জোহরা বরাবর এক স্মারকলিপি পেশ করেন। একইসাথে ১৮৮ জন ভূমিহীন নারী ও পুরুষকে মুজিব বর্ষের জমি ও ঘর দেওয়ার জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন মাহবুব ক্যাপ্টেন।