পাটকেলঘাটায় ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাৎ করল দোকান কর্মচারী
ফারুক সাগর ,তালা :
পাটকেলঘাটায় এক ব্যবসায়ীর ১৪লক্ষ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে এক দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে। একই ভাবে দোকানে মালামাল চুরি সহ ব্যবসায়ী লেনদেনের খাতাটি পর্যন্ত উধাও করে দিয়েছে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের। উপায় না পেয়ে অবশেষে আদালতের দারস্থ হয়েছেন ওই ব্যবসায়ীর মেয়ে লাবনী খাতুন(১৮)। প্রতারক ওই দোকান কর্মচারী নাম মিজানুর রহমান (৫০)। সে শাকদাহ এলাকার মৃত মাসুদ আলী খানের ছেলে। সরজমিনে গেলে লাবনী খাতুন জানান, পাটকেলঘাটা বাজারে আশিক স্টিল হাউজ নামে বাবা প্রায়ত আলাউদ্দীনের নামে একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৬ বছর আগে অভাবের তাড়নায় সেখানে রং মিস্ত্রীর কাজ নেয় মিজানুর।
এর কয়েক বছর পরে সে আমাদের আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়ায়। এরপর থেকে সে দোকানে দায়দায়িত্ব নিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছিল। ২০২১ সালে হঠাৎ আমার বাবা মারা যায়। এরপর থেকে দোকানের ক্রেতাদের কাছ থেকে বাকী থাকা ১১লক্ষ টাকা ও পরবর্তীতে দোকানের ক্যাশের তিন লক্ষাধিক টাকা সহ খাতাপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান,বিষয়টি নিয়ে আমি থানা পুলিশ ও বাজার কমিটির দারস্থ হয়েছি বহুবার।কিন্তু তারা কোন প্রতিকার করেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমি গত ৩১মে আমি সাতক্ষীরা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করি। মামলা -১০৭/২২।
আদালত পাটকেলঘাটা থানার পরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । বর্তমানে আমার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত । প্রতিমাসে তার চিকিৎসার জন্য লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে আমরা এখন নিঃস্ব প্রায়। সবশেষে তিনি পাওনা টাকা ফিরে পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, মিজানুর রং মিস্ত্রি থেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
কয়েক বছর আগেও সে দোকানের শ্রমিক ছিল আজ সে দোকান মালিক। যারা তার রুটি রুজির ব্যবস্থা করল তার দোকানে চুরি করে সে দোকান মালিক বনে গেল। সে এতবড় প্রতরক যে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে বাজারে আশিক স্টিল নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। দুদিন আগে একজনের চোরাই মাল কিনে বাজারে ধরা পড়ে, পরবর্তীতে মাপ চেয়ে সে যাত্রা রক্ষা পায়। বর্তমানে আগের দোকানের খাতা চুরি করে একই নামে প্রতিষ্ঠান খুলে আগের ক্রেতাদের টাকা তুলে খাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এক সময় সাতক্ষীরা শহরে বসবাস করতাম পরবর্তীতে পাটকেলঘাটা বাজারে আলাউদ্দীন নামে এক ব্যবসায়ীর সাথে আমার পরিচয় হয়। এরপর ২০১৬ সালে আমার সাথে তার ব্যবসা শুরু হয়। ২০২১সালে ২০জুন তিনি মারা যান। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জানাই।
এরপর ঘরমালিক মীর আছাদুজ্জামান আমায় ডেকে দোকানের চাবি সহ খাতাপত্র নিয়ে নেয়। এরপর দোকানে তালা মেরে ১১লক্ষ টাকা দাবী করলেও তার কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। এ নিয়ে একাধিক বার শালিশ দরবার বসেছে। এখন তারা লাবনীকে সামনে রেখে আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে আমার সাথে তাদের কোন ব্যবসায়ী সম্পর্ক নেই এছাড়া কোন টাকা পয়সাও পাবে না বলে তিনি দাবী করেন।
Please follow and like us: