আশাশুনিতে খালের বর্ধিত অংশে মাটি কেটে অবৈধ দখল ও হুমকীসৃষ্টির অভিযোগ
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পদ্মবেউলায় প্রবাহমান খালের (নতুন খননকৃত) বর্ধিত অংশে মাটি কেটে গভীর গর্তের সৃষ্টি করে নিজের জমির সাথে মিশিয়ে নেওয়া ও পাশের জমির জন্য হুকমীসৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাথে সাথে খাল বিলে ঘেরে যাতয়াতের পথ রোধ এবং পাশের ভিটেবাড়ি ও জমিতে ভাঙ্গন সৃষ্টি ও হুমকী গ্রস্ত করে তোলায় এলাকাবাসী মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও বিরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হতে চলেছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, জোড়দিয়া বিল এলাকা থেকে পদ্মবেউলার ভিতর দিয়ে চিলডাঙ্গা-পাইথালী হয়ে মহেশ্বরকাটি ¯øুইচগেট মুখো খাল খনন করা হয়েছে। বøুগোল্ড এর মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ ব্যয়ে এ খনন কাজ করা হয়। এতে এই এলাকার পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু প্রবাহমান খালের বর্ধিত অংশ স্থানীয় বেলায়েত হোসেনের ছেলে রোকনুজ্জামান অবৈধ দখল নিয়েছেন। সাথে সাথে অনেক স্থানে খালের জমির মাটি ও বর্ধিত অংশের মাটি বেকুমেশিন দিয়ে কেটে গভীর গর্ত করে নিজের জমির সাথে মিশিয়ে নিয়েছেন।
নতুন খনন করা সরকারি খালের বাঁধ কেটে নিজের পুকুর সম্প্রসারিত করে সরকারি সম্পত্তি জবর দখল ও খালের বাধের জমিতে ঘেরাবেড়া দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের পথ বন্দ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাঁধ কেটে দিয়ে পথকে দুভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। সেখানে গাছ ফেলে যাতয়াতের কোন রকমে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও গাছের উপর দিয়ে যাতয়াত কঠিন হওয়ায় অনেকে ব্যবহার করতে পারেনা।
স্থানীয় সাইফুল ইসলামের ভিটেবাড়ি ও সিরাজের জমির পাশ দিয়ে বড় ধরনের গর্ত করে মাটি কেটে নেওয়ায় ভিটেবাড়ি এলাকা হুমকীতে রয়েছে। সিরাজের জমিতে ধ্বস নামতে শুরু করেছে। বাঁধ কেটে নেওয়ায় যাতয়াতের পথ সংকীর্ণ ও কোথাও কোথাও সামান্য থাকার পরও সেখানে কলাগাছ লাগানো ও ঘেরাবেড়া দিয়ে চলাচল অসম্ভব করে দেয়া হয়েছে। এমনি ভাবে একের এর সরকারি নির্দেশনা অবজ্ঞা করে অনিয়ম ও হঠকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কোন রকম প্রতিকার না নেওয়ায় অবৈধ দখলকারীর বুকের পাটা বড় হয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, খালের উত্তর পাশে ৭/৮ কাঠা ও দক্ষিণ পাশে ২বিঘা মত জমিতে কোন প্রকার প্রটেকশান বাঁধ না নিয়ে মাছ চাষ করেন রোকনুজ্জামান। ফলে পাশের জমির মালিকদের বাড়ি ও জমি মাছ চাষ প্রজেক্টের পানির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু গাছও মারা গেছে। বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধি পেলে গর্তের পাশের মাটি ধ্বসে পাশের জমি ও পথ এশাকার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এব্যাপারে মাননীয় জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী।