চাঁদা না দেওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে পেটালেন ইউপি সদস্য
নিউজ ডেস্ক:
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় চাঁদা না পেয়ে এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজন ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার এসআই এমদাদুল হক।
সোমবার রাতে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার পূর্ব নরসিংহপুর সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে সাতজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজন ভূঁইয়া ও তার ছোটো ভাই রাকিব ভূঁইয়া, জাহিদ ভূঁইয়া, শামীম, শরীফ, হৃদয় ও অনিক।
আহতরা হলেন আশুলিয়ার ঘোষবাগ প্রাইমারি স্কুল এলাকার জাকির হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান ও একই এলাকার জামাল ভূঁইয়ার ছেলে জাহিদ ভূঁইয়া।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পূর্ব নরসিংহপুর সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আসছিলেন হাবিবুর রহমান ও জাহিদ ভূঁইয়া। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ভূঁইয়া ইন্টারনেট সার্ভিস। কিন্তু ইউপি সদস্য রাজন ও তার ছোটো ভাই রাকিব তাদের ব্যবসার দখল নিতে গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সোমবার রাতে পূর্ব নরসিংহপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় রাজন ভূঁইয়ার নির্দেশে ব্যবসায়ীদের কয়েকটি সংযোগ কেটে দেওয়া হয় ও প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন রাকিব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে সেখানে থাকা হাবিবুর ও জাহিদ প্রতিবাদ করলে রড ও লাঠি দিয়ে তাদের মারধর করা হয়। এ সময় রাকিব ও তার সহযোগীরা হাবিবুরের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহিদ ভূঁইয়া বলেন, আমি ও আমার পার্টনার শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু গত নির্বাচনে রাজন ভূঁইয়া মেম্বার হওয়ার পর থেকে আমাদের নেটের ব্যবসা দখল নিতে চান, অন্যথায় প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। এরই সূত্র ধরে তিনি ছোটো ভাই রাকিবকে পাঠান আমাদের সংযোগ কেটে তাদের সংযোগ লাগিয়ে দিতে। কিন্তু আমরা বাধা দিলে তারা হামলা করে। এই রাজন ভূঁইয়া ও তার ছোটো ভাই রাকিব ভূঁইয়ার নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মেম্বার হওয়ার পর এলাকাকে মাদকের আখড়া বানিয়েছেন। এলাকার মাদক সম্রাট তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসাআই) এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।