বড়দল ইউপি ৫৩ বছর পর বেদখলীয় জমি দখল নিয়ে আঞ্চলিক কার্যালয় চালু
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি :
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ গোয়ালডাঙ্গা বাজারে বেদখলে থাকা জমি ৫৩ বছর পরে উদ্ধার করে আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার (৩০ মে) উদ্ধারকৃত জমিতে দখল বুঝে নিয়ে পরিষদের উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে ভিজিডি’র চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা জানান, পরিষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে তৎকালীণ প্রভাবশালী চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন মকবুল ১৯৬৪ সালের ২৯ ফেব্রæয়ারি গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত আমিনুদ্দীন গাজীর স্ত্রী আয়ফুল বিবির নিকট থেকে চাম্পাখালী মৌজার ৪২৫ নং এসএ খতিয়ানের ৭০/৭২১ দাগে ১০ শতক জমি ক্রয় করেন। দলিল নং ১৫২৬।
সেই থেকে পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে চেক দাখিলা কাটা হয়। বর্তমান বিআরএস ৬৩৮ নং খতিয়ানও পরিষদের নামে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের পর থেকে জমিটি কয়েকজন জবর দখলে নিয়ে ভোগজাত করে আসছিলেন। বর্তমানে গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত তাবারক সরদারের ছেলে মিজানুর সরদার ও সামাদ সরদার এবং মৃত ফজর আলীর ছেলে হারুন বিভিন্ন কাগজপত্র সৃষ্টি করে পরিষদের উক্ত জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে অবৈধভাবে ৩টি পাকা দোকানঘর নির্মান করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমকে বিষয়টি জানালে তিনি অবৈধ দখলীকার ৩ জনকে ডেকে শান্তিপূর্ণ সমাধান করে পরিষদের জায়গা বুঝে দিয়েছেন। সোমবার সকালে উদ্ধারকৃত ঘরে ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জুলফিকার আলী ভুট্টো ৫৩ জন ভিজিডি কার্ডধারীর মাঝে ২০২১-২০২২ চক্রের ভিজিডি’র ৩০ কেজি হারে চাউল বিতরন করে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষদের কার্যক্রম শুরু করেন। ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা আরও বলেন, এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন এ কার্যালয় থেকে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এলাকার মানুষের কষ্ট লাঘবে এই কার্যালয়ে সম্ভাব্য সকল সুযোগ সুবিধা প্রদানের চেষ্টা করা হবে।