শ্যামনগরে কৃষিজমি অবৈধভাবে জবর দখল; ৯৯৯’র হস্তক্ষেপে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ!
নিজস্ব প্রতিনিধি:
শ্যামনগরের কাশিমাড়ীতে ৭২ বছরের ভোগদখলীয় ডিক্রি প্রাপ্ত কৃষিজমি অবৈধভাবে জবর দখল করে মাটিকাটা এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে ঘেরের বেড়িবাধ দেওয়ার অভিযোগে পাওয়া গেছে। পরে জাতীয় হেল্প লাইন ৯৯৯ এ কল দিয়ে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৮মে) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার কাশিমাড়ী পল্লীর গাঙআটি নামক গ্রামে।
জমির মালিক ভুক্তোভোগী মিজানুর রহমান জানান, দীর্ঘ ৭২ বছর ধরে কাশিমাড়ী মৌজায় জেএল নং ১০৩, খতিয়ান নং ১৪২৯, ২৬৭ দাগের মধ্যে ২ একর সাড়ে ৬২ শতক (৬বিঘা প্রায়) কৃষি জমি তিনি সহ তার অন্যান্য আত্মীয়রা সরকারি নির্দিষ্ট খাজনার বিনিময় ভোগ দখল করে আসছে। তারই প্রতিপক্ষ স্থানীয় ভুমিদস্য আব্দুস সবুর মোল্যা, এন্তেখাব মিল্টন ও আফাজ উদ্দীন ঘটনার দিন তাদের ডিসিয়ার আছে দাবী করে মাটিকাটা এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে উক্ত কৃষিজমিতে মাটি কেটে নালা নর্দমা ও খানা খন্দের সৃষ্টি করতে থাকে। এমতাবস্থায় জমির মালিক ভুক্তোভোগী মিজানুর রহমান জাতীয় হেল্প লাইন ৯৯৯ এ কল দিয়ে জবরদখলকারী ভূমিদস্যুদের হাত থেকে উক্ত জমি রক্ষার জন্য সাহায্য কামনা করেন। তাৎক্ষণিক শ্যামনগর থানা পুলিশের এএসআই মোঃ কামরুজ্জামান সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উক্ত কৃষি জমির উপর এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি খননের যাবতীয় অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরবর্তীতে প্রতিপক্ষরা মাটিকাটার এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে পূণরায় নালিশী সম্পত্তিতে ঘেরের বেড়িবাধ তৈরির কাজ শুরু করেন।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান আরও জানান, প্রতিপক্ষ আব্দুস সবুর মোল্যা নিজেকে একজন আওয়ামীলীগ নেতা দাবী করে সম্পূর্ণ পেশীশক্তির জোরে আমার ডিক্রীধারী জমি জবর দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগে গেছে। আমার পিতা বেঁচে থাকাকালীন সময় থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রায় ৭২ বছর উক্ত সম্পত্তি আমি নিয়মমাফিক ভোগ করে আসছি।
এলাকাবাসী জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত দেখছি মিজানুর রহমানের পিতা বেঁচে থাকা কালীন সময় থেকে আজ পর্যন্ত উনারা ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু আজকে দেখছি অন্যরা নিজেদের ডিসিআর আছে বলে দখল করতে এসেছে।
প্রতিপক্ষ আব্দুস সবুর মোল্যা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা ডিসিআর নিয়েছি। তাই আমরা দখল করছি।
কিন্তু ঘটনাস্থলে চলতি বছরে তিনি কোন ডিসিআর দেখাতে পারেননি।
কাশিমাড়ী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, উক্ত ঘটনাটি আমি শুনেছি। উক্ত সম্পত্তি সরকারি ভিপি ক তফসিল ভুক্ত সম্পতি। বাংলা ১৪২৮ সালে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ১৪২৯ সালে কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। বর্তমানে ইজারাবিহীন অবস্থায় আছে। জমির মালিক সরকার। সরকারের দখল নিয়ন্ত্রণে আছে। কেউ অবৈধভাবে মাটি কাটার চেয়ে করছে এটা আমি শুনে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছি। এবং সেই মোতাবেক তারা ব্যবস্থা নিবে।
Please follow and like us: