মাঙ্কিপক্সে কি কারো মৃত্যু হতে পারে?
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক :
মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণের হার বাড়ছে। এরই মধ্যে ইউরোপে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, ইতালিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগটি। আমেরিকা, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও এই রোগটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি বন্দরে (নৌ, স্থল এবং বিমান) অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও এরই মধ্যে সতর্ক করেছে রোগটি নিয়ে। বলা হয়েছে, আগামী দিনে এই রোগের সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। কিন্তু কতটা ভয়ের হয়ে উঠতে পারে এটি? এই রোগে কি মৃত্যুও হতে পারে?
মাঙ্কিপক্স বিরল একটি অসুখ। এর আগে আফ্রিকার কিছু দেশেই এর সংক্রমণ টের পাওয়া গিয়েছিল। এবং আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল ৫ বছরের কম বয়সের শিশুরা। কিন্তু এই প্রথম বার বেশি বয়সিদের মধ্যেও এই রোগটি ছড়াচ্ছে।
এই রোগের ধরন কেমন? যত দূর জানা গিয়েছে, তাতে স্মলপক্সের থেকে এই রোগের ভয়াবহতার পরিমাণ কম। কিন্তু চিকেনপক্সের থেকে বেশি। জ্বর, হাতা-পায়ে ব্যথাতর মতো উপসর্গের পাশাপাশি পক্সে যেমন সারা গায়ে গোটা বেরোয়, এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। সেই সব উপসর্গ ২ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। তার পরে নিজে থেকেই কমে যাচ্ছে রোগটি।
এর কোনো ওষুধ বা টিকা এখনও পর্যন্ত নেই। তবে যাদের পক্সের টিকা নেয়া আছে, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের ভয়াবহতা তুলনায় কম হচ্ছে বলেই জানা গেছে। কিছু কিছু মানুষের মধ্যে এই অসুখটি ছড়ানোর হার তুলনায় বেশি বলেও জানানো হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে। বিশেষ করে সমকামী এবং উভকামী পুরুষদের মধ্যে যৌনসম্পর্ক থেকে এই রোগ ছড়িয়েছে বলেও সন্দেহ। সেই জন্য পুরুষে পুরুষে যৌনসম্পর্কের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল, মাঙ্কিপক্সে মৃত্যু হতে পারে কি-না? এখনও পর্যন্ত যা জানা গেছে, তাতে এই রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা কম। হালে যত জনের মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউই এই অসুখে প্রাণ হারাননি। তাই এটিকে ভয়ঙ্কর বলে মনে করছেন না অনেকেই।
তবে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। এটাও বলা হচ্ছে, সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লে এই রোগটির সমস্যাগুলি আরও বেশি করে বোঝা যাবে।