আ.লীগ ফের সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতায় আসতে চায়: মির্জা ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার দেশের সংবিধান কেটে ছিঁড়ে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে।
শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক দলের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। আর ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে আগের রাতে ফল তারা তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়। এবারও তারা একই কায়দায় ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, সংবিধানের যে মৌলিক ধারাগুলো ছিল সেগুলো পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। সংবিধান এখন আওয়ামী সংবিধানে পরিণত হয়েছে। সংবিধানে তিনটি অনুচ্ছেদ আছে, যে অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে কোনোদিন এগুলোতে হাত দেওয়া যাবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে কোনো রেফারেন্ডাম ছাড়াই পার্লামেন্টে ক্যু করে একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল আওয়ামী লীগ। সুতরাং তাদের মুখে যখন আমরা গণতন্ত্রের কথা শুনি তখন একটা হাস্যকর পরিস্থিতি দাঁড়ায় এবং এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। যখন একজন সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বিষোদ্গার করেন তখন স্বাধীন সাংবাদিকতা থাকে না। তিনি যখন একজন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদকে কটূক্তি করেন তখন সেটা বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করে। রাষ্ট্রের চিফ এক্সিকিউটিভ; যেভাবেই তিনি ক্ষমতায় আসুন না কেন, তিনি যখন বলেন বিরোধী দলীয় নেত্রীকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দাও-এটা নিশ্চয়ই ভয়ংকর কথা।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের পরিবেশ আরও খারাপের দিকে না নিয়ে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করুন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। এছাড়া রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের পথ নেই।
মতবিনিময়সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির নেতা আব্দুল হামিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সভাপতি নূরুজ্জামান সরকার, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।