তালায় এতিম ছাত্রকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
Post Views:
৩৭৪
ফারুক সাগর,তালা :
তালায় খলিশখালী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপারের হাতে ক্লাস টেন এর ছাত্রকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে বেতের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে টর্চার করার অভিযোগ উঠেছে।
কাশিয়াডাগ দাখিল মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে গনেশপুর গ্রামের ইব্রাহিম নামের এক ছাত্রের উপর টর্চার চালানো হয় ।পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে হসপিটালে ভর্তি করে।
এবারও একই ঘটনা ঘটালো মাদ্রাসা সুপার। মাদ্রাসার ক্লাস টেনের এক ছাত্র গাজী গোলাম রসূল কে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে টর্চার করার প্রমাণ মিলেছে।আহতের বড় ভাই সবুজ যানান,আমার ছোট ভাই কাশিয়াডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীর ছাত্র সে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারধর করে গুরুতর জখম করে ।আমি ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যাই।জানতে পারি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে সে নিজেই থানায় যেয়ে একটা অভিযোগ করেছে।
আহত গোলাম রসুল জানান, বুধবার(১৮মে ) সকাল ১১ টার দিকে আমি মোবাইল ফোন নিয়ে মাদ্রাসায় যায় পরে হুজুর আমার কাছে মোবাইল চাইলে বলি নগদ একাউন্ট থেকে টাকা উঠাতে নিয়ে এসেছি, টাকা তুলে আবার বাড়িতে রেখে আসবো । হুজুর আমার কথায় কর্ণপাত না করে ,আমাকে বেতের লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। তখন ওই ছাত্র হুজুর কে বলে আমার বাবা নেই আমাকে আর মারবেন না আমার হাত ফুলে ব্যাথা করছে আমি বাড়িতে যাব। মাদ্রাসা সুপার আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে অফিস কক্ষে নিয়ে যায় পুনরায় মারধর করতে থাকে পরবর্তীতে গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে আমাকে চিকিৎসা করে । আমি সুস্থ হয়ে থানায় একটা অভিযোগ করি। পরে সবাই আমাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে নিয়ে আসে বাড়িতে আমি এ ব্যাপারে কোনো বিচার পাই নাই আমি এ ব্যাপারে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।
ওই ছাত্রর মা জানাই,আমার ছেলেকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ।আমরা কিছু করলে আমার ছেলের লাইফটা নষ্ট করে দেবে এমন কথা বলায় বাধ্য হয়ে থানা থেকে চলে আসি। আমার ছেলেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার বিচার চায়।
মাদ্রাসা সুপার আব্দুর রাজ্জাক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাংবাদিকদের সাথে উত্তেজিত হয়ে রক্তচক্ষু ভাব দেখিয়ে বলে তোমাদের জবাব দিতে আমি বাধ্য নই। বেশি ঝামেলা করলে আমাদের স্কুল কমিটিকে ডাকবো তারপরে কথার উত্তর দেবো।এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় দাম্ভিক এ মাদ্রাসা সুপার এর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ছয় থেকে ৭টি নাশকতার মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার ওসি বলেন অভিযোগ পেয়ে ছিলাম কিন্তু অভিযোগের বাদী নিজেই ক্ষমা করে দিয়েছে সালিশের মাধ্যমে ক্ষমা করা হয়েছে।