জন্মদিনের গিফট কেনার কথা বলে ডেকে নিয়ে খুন, গ্রেফতার ৬
নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে ছুরিকাঘাতে ধ্রুব চন্দ্র দাস হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা মাধব চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার (১৮ মে) তিনি মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলো- ফতুল্লা থানার ইসদাইর বাজার এলাকার মিঠুর ছেলে ইয়াসিন, ইসদাইর উকিলের বাড়ির লিটন দাসের ছেলে পিয়াশ দাস, বলয় চন্দ্র রায়ের ছেলে রিপন, উজ্জ্বল চন্দ্র দাসের ছেলে রুদ্র চন্দ্র দাস, বিমল চন্দ্র শিলের ছেলে অন্তু চন্দ্র শীল, শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে জয় চন্দ্র দাস, প্রান্তোষের ছেলে প্রভাত, একই এলাকার তুহিন, ফয়সাল ও হিমেল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর একমাত্র ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস ফতুল্লা থানার ইসদাইরস্থ রাবেয়া স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার (১৭ মে) সন্ধ্যার দিকে ধ্রুব নিজ বাসায় লেখাপাড়া করছিল। রাত ৮টার দিকে ধ্রুবর সহপাঠী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস বাসায় এসে তাদের অপর এক সহপাঠীর জন্মদিনের গিফট কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাবেয়া স্কুলের সামনে পৌঁছালে ধ্রুবর সহপাঠী শ্রী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস ও অভিযুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন হাতে ছোড়া চাকু, সুইচ গিয়ার চাকু, লোহার পাইপ নিয়ে ধ্রুবকে মারপিট করতে থাকে। এ সময় অভিযুক্ত ইয়াসীন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ধ্রুবকে ছুরিকাঘাত করে। ফলে রাস্তায় পড়ে যায় ধ্রুব।
খবর পেয়ে বাদীর ছোট ভাই মিঠুন চন্দ্র দাস ও তুষার ধ্রুবকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাদীসহ স্বজনরা ধ্রুবকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢামেকে নিলে রাত সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ঘটনার পরপরই ছয়জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ইয়াসীন, পিয়াস দাস, অন্ত চন্দ্র শীল, রিপন, জয় চন্দ্র দাস ও রুদ্র চন্দ্র দাস।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শেখ রিয়াজুল হক দিপু জানান, নিহত স্কুলছাত্রের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এরমধ্যে পুলিশ এজাহার নামীয় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা করছে পুলিশ।