কলারোয়ার আম গেল ইউরোপেঃ আম রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক
কামরুল হাসানঃ
তৃতীয় দফায় দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপের বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো কলারোয়ার আম। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর এলাকার কৃষক কবিরুল ইসলাম ডাবলুর আম বাগান থেকে সরকারি নিয়ম মেনে ২ হাজার কেজি (২ মেট্রিকটন) হিমসাগর আম লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। আর বিদেশে আম পাঠাতে পেরে খুশি আম চাষীরা।
এর আগে গত ১৪ মে এসিআই লজিষ্টিক লিঃ এর মাধ্যমে ১০০ কেজি গোবিন্দভোগ আম হংকংয়ে এবং ১৬ মে জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর মাধ্যমে ৪০০ কেজি হিমসাগর আম লন্ডনে রপ্তানি করা হয়। এবছর সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১০০ মেট্রিকটন আম বিদেশের বাজারে যাচ্ছে বলে জানা গেছে কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে।। আমের স্বাদ ও মান ভাল হওয়ায় রপ্তানীও বাড়ছে সাতক্ষীরার আম।
এ সময় আম রপ্তানির কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান জিয়েল ইন্টার ন্যাশনাল লিমিটেড এর মাধ্যমে এ আম রপ্তানি করা হচ্ছে।
এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নূরুল ইসলাম, জেলা বিপনন কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস, উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া’র প্রোগ্রাম অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার ‘সফল’ প্রকল্পের সহায়তায় সাতক্ষীরা থেকে নিরাপদ আম রপ্তানী করা হয়।
সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নুরুল ইসলাম জানান, এর আগে ২০১৪ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম রপ্তানী হচ্ছে ইউরোপের ফ্রান্স,জার্মানী,লন্ডন,ইটালি ও পর্তুগালে। সারা বাংলাদেশ থেকে এবার ৬০০ মেট্রিকটন আম বিদেশে রপ্তানী হবে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা থেকে ১০০ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম ইউরোপের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি হওয়ার কথা রয়েছে। নিরাপদ পরিবেশ বান্ধব আম চাষের জন্য ৫০০ চাষীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলায় ১৩ হাজার ১০০ জন আম চাষীর ৫ হাজার ২৯৯ টি বাগান রয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধরন করা হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিকটন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, সাতক্ষীরা আমে একটি সুনাম রয়েছে দেশ জুড়ে। দিন দিন আন্তজার্তিক বাজারেও সাতক্ষীরার আমের চাহিদা বেড়েছে। ইরাক ও আরব আমিরাতে সাতক্ষীরার আম নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আন্তজার্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে আরো বেশী সাতক্ষীরার আম রপ্তানী করতে পারলে আরো বেশী বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি এ সময় কোন রকম ক্যামিক্যাল না মিশিয়ে কৃত্রিম উপিায়ে আম চাষ করার জন্য চাষীদের কাছে আহবান জানান। কৃষিসম্পসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলা থেকে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত আমসহ অন্যান্য সবজির ধারাবাহিক রপ্তানী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।