উপকূলীয় অঞ্চলে শিশুশ্রমের বিপদজনক কর্ম প্রতিরোধ ও নির্মূলকরণ সভা
অনাথ মণ্ডল , শ্যামনগর :
যেখানে শিশুর হাতে থাকার কথা বই সেখানে কোমলমতি শিশুদের বিভিন্ন পেশাতেই পদচারণা। যেখানে হাসিখুশি ও আনন্দ-উল্লাসে বেড়ে ওঠার কথা সেখানে শিশুশ্রম। যে চোখে স্বপ্ন দেখার কথা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের, সেই চোখ নির্ঘুম রাত জাগে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার নেশায়। নৌকা আর জাল নিয়ে ছুটতে হয় মাছ শিকারে। শুধু জেলে, কাঁকড়া আহরণ, কৃষক বা শ্রমিকের মতো পেশাই নয়, উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোর প্রায় সব পেশাতেই শিশুদের সমান পদচারণা।
বাবা-মায়ের হাত ধরে সুনিশ্চিত ভবিষতের উদ্দেশ্য বেড়ে ওঠাই প্রতিটি শিশুর অধিকার, কিন্তু উপকূলে দেখা যায় এর ভিন্ন রূপ। শিশুশ্রমের বেড়াজালে বন্দিজীবন কাটে হাজারো শিশুর। দারিদ্র্যের করাল গ্রাসে বিবর্ণ হয়ে ওঠে তাদের শৈশব। উপকূলের মৎস্যঘাটগুলো যেন শিশুশ্রমের আঁতুড়ঘর। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে চলে শিশুশ্রমের মহাযজ্ঞ।
আর এসব বিপদজনক শিশুশ্রম প্রতিরোধে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কাশিমাড়ি, বুডিগোয়ালিনি ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে ২ বছর মেয়াদে কাজ করছে উত্তরণ। ১৮ মে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরণ এর বাস্তবায়নে ইডিইউসিও এর অর্থায়নে বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে শিশুশ্রমের বিপদজনক কর্ম প্রতিরোধ ও নির্মূলকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- উত্তরণ এর ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক নাজমা আক্তার, টেশনিকাল অফিসার অলোক পাল, আনিছুর রহমান, ক্যরিটাস এর প্রোগ্রাম অফিসার সুমন মালাকার, রুপান্তর এর মোঃ শাহিনুর ইসলাম, লিডার্স এর এডমিন অফিসার অসিত মন্ডল, ডি.আর.আর.এ এর সি.এফ কাফালি, আলী আশরাফ, ফ্রেন্ডশীফ এর মোঃ ইফনুস আলী, ব্রাক এর মোঃ মহাশিনুর রহমান, নকশিকাথা এর শিপুয়া রায়, জোসেফ সরকার প্রমূখ।
Please follow and like us: