আচার খাওয়ার রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা, সঙ্গে আছে কিছু অপকারিতাও

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক:

আচার এমন একটি খাবার যার নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। ছোট থেকে বড় যে কেউি আচার খেতে খুব পছন্দ করেন। বিশেষ করে খিচুড়ির সঙ্গে আচার না হলে যেন চলেই না। তাছাড়া এমন অসংখ্য খাবার আছে যার সঙ্গে একটুখানি আচার হলে সেই খাবারের স্বাদ যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

এখন চলছে রসালো ফলের মাস। বাজারে গেলেই দেখা মেলে নানা রকম ফলের। এই সময় যে ফলটি সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ে, সেটি হচ্ছে কাঁচা ও পাকা আম। কাঁচা আমের সময়টা আচারপ্রেমীদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়। কারণ এসময় নানা স্বাদের আচার তৈরি করে সংরক্ষণ করা যায়। সেই আচার খাওয়া যায় দীর্ঘদিন ধরে।

তেল আর বিভিন্ন রকম মশলা যোগ হয়ে তা আচারকে আরো বেশি সু্স্বাদু করে তোলে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে এই যে আচার আমরা খাই, এটি কি উপকারী? নাকি কেবল স্বাদের কারণেই খেয়ে থাকি? জেনে অবাক হবেন যে, শুধু স্বাদ নয়, আচার শরীরের জন্য অনেক উপকারীও। চলুন জেনে নেয়া যাক-

আচারের উপকারিতা

আচার তৈরি করার সময় তাতে তেল বা ভিনেগার মেশানো হয়। ফল বা সবজির আচার তৈরির ক্ষেত্রে তেল বা ভিনেগারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ল্যাকটিক, সাইট্রিক ও অ্যাসেটিক তৈরি করে। এই তিন অ্যাসিডই শরীরের পক্ষে ভালো। এই উপাদানগুলো শরীরের মধ্যে উপকারী মাইক্রোবসদের আরো সক্রিয় ও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। আমাদের অন্ত্রে কাজ করে এই মাইক্রোবস। যে কারণে  আচার খেলে বাড়ে হজমশক্তি, মেটাবলিজম ভালো হয়। সেইসঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রাও।

বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

আচারে তেল বা ভিনেগার ছাড়াও দেওয়া হয় নানা রকমের মশলা। লবণ, মরিচ, হলুদ ও অন্যান্য মশলা ব্যবহার করার কারণে আচারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যোগ হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যদি নিয়মিত আচার খাই তাহলে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেকটাই।

আচার খাওয়ার রছে কিছু অপকারীতাও। চলুন জেনে নেয়া যাক- 

কিছু গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। সেখানে বলা হয়, প্রতিদিন যদি আচার খান তবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফল বা সবজি দিয়ে তৈরি আচারে ক্যালোরি থাকে অনেক কম। তাই আচার খেলে তখন অন্য খাবারও বেশি বেশি খেতে ইচ্ছা করে। আচার খুব দ্রুত খাবার হজম হতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়, তাই নিয়মিত আচার খেলে অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। সেসব খাবার খেতে সুস্বাদু হলেও তাতে কোনো পুষ্টি থাকে না। সেসব খাবার শরীরে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)