সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক পুলিশ সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, সদরের খানপুর গ্রামের হাজী আব্দুল মজিদের পুত্র রিয়াজুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। খানপুর পশ্চিম বিলে আমাদের ৩৫ শতক জমি নিয়ে রইচপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী মনজুয়ারা খাতুনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
উক্ত সম্পত্তিতে খানপুর গ্রামের মোক্তার আলীর পুত্র খোরশেদ আলী মৎস্যঘের পরিচালনা করেন। মনজুয়ারার কিছু সম্পত্তি ঘেরের মধ্যে রয়েছে। তার সম্পত্তি নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর আদালতে বাটোয়ারা ০৭/২০১৬ নং মামলাও চলমান রয়েছে। সম্প্রতি মনজুয়ারা আমাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। থানা থেকে কোন নোটিশ প্রদান না করায় আমরা জানতে পারেনি। পরবর্তীতে মনজুয়ারাসহ তার সহযোগিরা থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে গত ৭ মে ২০২২ তারিখে আমার ভাইপো হযরত আলীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসেন।
দিনভর নাটকীয়তার পর মনজুয়ারাকে বাদী করিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে ভাইপো হযরত আলীকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি আরো বলেন উক্ত মামলায় আমার বৃদ্ধা বড়ভাই নজরুল ইসলামকে প্রধান, ভাইপো কে দ্বিতীয় এবং আমাকে তৃতীয় আসামী করা হয়েছে। অথচ ওই তারিখে চাঁদা চাওয়া তো দূরের কথা মনজুয়ারার সাথে সেদিন আমাদের দেখা হয়নি ও কথাও হয়নি। এছাড়া ঘের থেকে নাকি মাছ লুটপাট করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঘেরের মালিক খোরশেদ আলী। মাছলুটপাট করলে মামলা করবে ঘেরমালিক। অথচ মনজুয়ারা কিভাবে এ মিথ্যা মামলার বাদী হন।
এছাড়া ঘেরটি বর্তমানে শুখনা। সেখানে কোন পানি নেই তাহলে মাছ থাকবে কিভাবে। আমি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। অথচ স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে আমাদের পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতে মামলা চলছে। আদালতে যে রায় দিবেন আমরা মেনে নেবো। কিন্তু উল্লেখিত মনজুয়ারা আদালতে সিদ্ধান্তের পূর্বে শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। ওই মিথ্যা মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেতে এবং মনজুয়ারার কবল থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।