দেবহাটায় হাফিজিয়া মাদরাসায় হুজুরের বেদম প্রহারে শিশু শিক্ষার্থী আহত
স্টাফ রিপোর্টার:
দেবহাটায় একটি হাফিজিয়া মাদরাসার হুজুরের বেদম প্রহারে মাসুম বিল্লাহ (১২) নামের এক হাফেজ শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহত শিশুটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিন আলীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে। তাকে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার ঘলঘলিয়া রহিমপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় শিশু মাসুম বিল্লাহকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন ওই মাদরাসারই হুজুর মুরাদুল ইসলাম। মারপিটের পর সারারাত চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো আহতবস্থায় শনিবার সকালে শিশুটিকে মাদরাসা থেকে বের করে দেন হুজুর মুরাদুল। পরে শিশুটির বাবাসহ পরিবারের লোকজন মাদরাসায় গেলে অভিযুক্ত হুজুর মুরাদুল আত্মগোপন করেন।
নির্যাতিত শিশুর বাবা মোহাম্মদ আলী গাজি বলেন, মাসুম বিল্লাহকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রায় দুবছর আগে দেবহাটার ঘলঘলিয়া রহিমপুর হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি করাই। প্রতিমাসে ছেলের সাথে দেখা করতে গিয়ে মাদরাসার খরচ বাবদ হুজুর মুরাদুলের কাছে কিছু কিছু টাকাও দিয়ে যাই। বুধবার ঝড়ে গাছ থেকে পড়া দুটি আম কুড়িয়ে আমার ছেলে মাসুম বিল্লাহ তার বাক্সে রাখে।
বৃহষ্পতিবার আমার শিশু সন্তানকে চুরির অপবাদ দিয়ে দূর্ব্যবহারসহ তাকে মাদরাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেন হুজুর মুরাদুল। কিন্তু পড়াশুনা বাদ দিয়ে আমার ছেলে মাদরাসা ছেড়ে চলে না যাওয়ায় শুক্রবার রাতে হুজুর মুরাদুল আমার ছেলেকে মাদরাসায় ফেলে লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। তিনি অভিযুক্ত ওই মুরাদুল ইসলামের দৃষ্টান্ত মূলোক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্যাতিত শিশুর পরিবারের সদস্যরা দেবহাটা থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছিলেন।
শিশুকে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাদরাসার হুজুর মুরাদুল ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি তিনি আত্মগোপনে থাকায় মাদরাসাতে গিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে।