যশোরের মেয়ে স্বামী কতৃক ভারতে নিয়ে খুন: অতঃপর দেশে ফিরে পুলিশের হাতে আটক

স্টাফ রিপোর্টার :

ভারতের গুজরাটে স্ত্রীকে বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে খুন করে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন যশোরের কামরুল ইসলাম (৩০)। ১২ মে মধ্যরাতে যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কামরুল ইসলাম সদর উপজেলার বানিয়ারগাতী সাকিনস্থ ইউনুস আলীর ছেলে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, কামরুল ইসলাম গত ১৫ এপ্রিল নিজ স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২৪) চাকরি দেওয়ার প্রলোভনেয় ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের আনান্দ্ব জেলার ভালেজ থানা এলাকায় আটক রাখেন। সেখানে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে আসে।

স্বজনরা তার স্ত্রী সালমা খাতুনের অবস্থান জানতে চাইলে স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণ করেন কামরুল ইসলাম। ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় স্বজনদের সন্দেহ হয়। এরপর সালমা খাতুনের পিতা সহিদুল ইসলাম ১১ মে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন। মামলা নং-২৫ তাং-১১/০৫/২০২২ ইং। ধারা-মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৮/৯/১০(১)/১৪।

এদিকে ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার রহস্য উদঘাটন ও ভিকটিম উদ্ধারের জন্য কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে থানা ও ডিবি পুলিশের একটি চৌকস টিম তদন্তে নামে। পুলিশ জানতে পারেন ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সালমা খাতুনকে হত্যা করে কামরুল দেশে এসে পালিয়ে আছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিমান তরফদার জানান, ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার ও এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ মে রাত ১২ টার দিকে বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রী সালমা খাতুনকে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে আসে বলে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ আরো জানায় এসময় পুলিশ আসামির তিনটি পাসপোর্ট, সালমা খাতুনের পাসপোর্ট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)