এসিড  দিয়ে স্ত্রীকে  পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর উপর   

নিজস্ব  প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় স্ত্রীকে  এডিস জাতীয় দার্হ্য পদার্থ দিয়ে পুড়িয়ে   হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে  সাবেক স্বামী সহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।  আহত গৃহবধু ও তার বর্তমান  স্বামী  বর্তমানে রাজধানীর সরকারী  বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানাগেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আহতরা কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হকের মেয়ে  তামান্না খাতুন (২৫)ও  স্বামী  ফরহাদ সরদার(৩০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবুল হোসেন সরদারের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার   কবিরাজ বাড়ির  আবুল হক সরদারের ছেলে ফরহাদ সরদারের সাথে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখে  তামান্নার সাথে বিয়ে হয়।  এর আড়াই বছর আগে  কলারোয়া উপজেলার  তুলসী ডাঙ্গা গ্রামের মালেশিয়া প্রবাসী  সাদ্দাম নামের এক যুবকের সাথে তামান্নার বিয়ে হয়েছিল।  কিন্তু মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম দুই বছরের ভিতরে দেশে আসেনি বলে  পরে তামান্না সাদ্দামকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।ঘটনার দিন  সন্ধ্যারপর তাদের বাড়ির পিছনের কপোতাক্ষ নদীর তীরে নবদম্পতি  বসে থাকা অবস্তায় কয়েকজন অজ্ঞাতনামা যুবক এসে এসিড জাতীয় পদার্থ এনে তাদের শরীরে  নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়
আহত তামান্নার ছোটবোন রুমানা খাতুন জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বোন ও জামাইয়ে উপর কয়েকজন যুবক এসে এসিড জাতীয় কিছু জিনিস নিক্ষেপ করে। এর পর বোনজামাই বাড়ির গেটের সামনে এসে  মাকে  চিৎকার করে ঘটনাটি বলতে  থাকে। পরবর্তীতে আমরা দু-জনকে খুলনা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করি।পরে  অবস্তার অবনতি দেখে তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন  ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুলাভাইয়ের শরীরে কিছু অংশ পুড়লেও  আপুর মুখমন্ডলের আংশিক এবং  বডি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানায় সে।
তামান্নার বাবা  শেখ আব্দুল হক জানায়,গতকাল রাতে আমার মেয়ে জামাতাকে খুলনা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তির সময় মেয়ের সাবেক স্বামী  প্রবাসী সাদ্দামকে আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে দগ্ধ অবস্থায় দেখে এসেছি। পরবর্তীতে আমরা তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করি।আমার মেয়ে জামাতাকে  সাদ্দাম ও তার সঙ্গীরা  হত্যার চেষ্টা  চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি  কাঞ্চন কুমার রায় জানান,  এই ঘটনায়  থানায়  মামলা প্রক্রিয়াধীন । আসামী গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)