কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়

অনলাইন ডেস্ক :

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। চতুর্থ দিনও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

এর আগে বুধবার থেকে এবারের ঈদযাত্রা শুরু করে রেলওয়ে। তবে প্রথম দুইদিন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক হলেও শুক্রবার থেকে তা বেড়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, এদিন ভোর থেকেই সবগুলো প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ভিড়। একেতে গরম, এর পর আবার অধিক লোকসমাগমের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের। গরমে শিশুদের কিছুটা প্রশান্তি দিতে অনেক অভিভাবককে হাত পাখা দিয়ে তার সন্তানদের বাতাস করতে দেখা যায়।

যাত্রীরা ভোগান্তি এড়াতে ট্রেন ছাড়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা আগেই স্টেশনে পৌঁছান। ভোরের ট্রেন ধরতে অনেকেই আবার সেহরির পর পরই স্টেশনে চলে এসেছেন। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বিনা টিকিটে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না, মেইন গেটে টিকিট প্রদর্শন করেই প্রবেশের অনুমিত মিলছে। যারা টিকিট পাননি, তারাও নিতে পারছেন স্ট্যান্ডিং টিকিট।

ঈদযাত্রার প্রথম দুইদিন বুধ ও বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ভিড় থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই বেড়েছে যাত্রীর চাপ। কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে তিল ধারনের জায়গা ছিল না শুক্রবার, আজও একই অবস্থা।

কথা হয় রাজশাহী যাওয়ার উদ্দেশ্য অপেক্ষা থাকা ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রী শাহ আলম সঙ্গে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তাসনিন বলেন, ঈদযাত্রা মানে ছেলেবেলাকে মনে পড়ে। ছাত্রাবস্থায় যেভাবে বাড়ি ফিরেছি এখনও ট্রেনযোগে সেভাবেই বাড়ি ফিরি। ঘরের এ আনন্দ অন্যরকম। যদিও ৪০ মিনিট দেরিতে ট্রেন ছাড়লো তবুও আনন্দ লাগছে বহুদিন পর বাড়ি যাবো এটা ভেবে।

অপর যাত্রী জাবের বলেন, আমাদের রেল ব্যবস্থাপনা ভালো হলে ঈদের আনন্দ আরও বেড়ে যেতো। হাজার হাজার মানুষের টিকিট পেতে ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা দেখেছি, যা কাম্য না। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এমনটা নেই। আমাদের সেবাকে আরও আধুনিক করার দরকার। তবে এতো কষ্টের মধ্যেও বাড়ি ফিরছি এটাই বড় আনন্দ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবো এটাই আনন্দের।

রেলওয়ের ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে ধূমকেতু ৪০ মিনিট এবং নীলসাগর ৪৫ মিনিট দেরিতে ছাড়লেও বাকি ট্রেনগুলো ছেড়েছে সঠিক সময়েই। ধূমকেতু সকাল ৬টায় ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও সেটি স্টেশন ছাড়ে ৬টা ৪০ মিনিটে। আর ৬টা ৪০ মিনিটে নীলসাগর স্টেশন ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি স্টেশন ছেড়েছে ৭টা ২৫ মিনিটে।

এদিকে, ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে। এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)