জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারে ৮ জন আহত
জমিনিয়ে বিরোধের জের ধরে সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলায় প্রতিপক্ষের হামলা ও মারপিটে এক পরিবারের ৮ জন আহত হয়েছে।
আহাতরা হলেন সাতক্ষীরা সদর সদর উপজেলার মাছখোলা শিবতলা এলাকার মৃত নুরআলি গাজীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০), গোলাম রসুলের ছেলে মোরশেদ আলী বকুল (৩৮) ও মুস্তাফিজুর রহমান (২৫), মৃত আহাদ আলী গাজীর ছেলে রুহুল আমিন গাজী (৫২), মৃত শহর আলী গাজীর ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৫৩), মৃত আহাদ আলী গাজীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৭০), মৃত আহাদ আলীর ছেলে লোকমান হাকিম (৫০) ও জিল্লুর রহমান। আহতরা আশংকাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল বিকেলে সদর উপজেলার মাছখোলা শিবতলা এলাকায় এহামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় লোকমান হাকিম বাদীহয়ে দশ জানের নাম উল্লেখ করে আরো ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এজাহার দিয়েছে।
লোকমান হাকিম জনান, আমার পৈতৃক ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে ৩ বিঘা জায়গায় ধানচাষ করি। সেই ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষের মোঃ লুৎফর রহমান মোল্লা, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ এরশাদ শেখ, মোঃ মুন্না, মিলন হোসেন, মোঃ সুমন, জহুরা বেগম, তাসলিমা খাতুন, আমেনা খাতুন সহ ২০/২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, শাবলসহ ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা করে। তারা আমাকে ও আমার পরিবারের ৮ সদস্য কে নির্মম ভাবে পিছিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। এই হামলা ও মারপিটের ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দেওয়ায় প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে এসে দফায় দফায় হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা থানা থেকে অভিযোগ তুলে নিতে বলছে। আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান,জমিনিয়ে বিরোধ থাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মাছখোলায় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। জানতে পেরে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।